এই সময়, কান্দি: শুরু হয়েছে মাধ্যমিক। সেই মতো প্রথম পরীক্ষা—বাংলা দিতে এসেছিল প্রসূতি মেয়েটি। সঠিক সময়ে পৌঁছেছিল পরীক্ষার হলে। কিছুক্ষণ পরেই বিপত্তি। উঠল প্রসব যন্ত্রণা। হাসপাতালের বেডে বসেই বাংলা পরীক্ষা দিল পরীক্ষার্থী। মুর্শিদাবাদের কান্দির ঘটনা। সোমবার পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই প্রসব যন্ত্রনা ওঠে তার।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের তৎপরতায় তড়িঘড়ি তাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে হাসপাতালের বেডে বসেই পরীক্ষা দেয় ওই নাবালিকা ছাত্রী। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। জানা গিয়েছে এক বছর আগে বিয়ে হয় তার। বর্তমানে ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড দেখেই জানা যায় ওই ছাত্রী নাবালিকা। কিন্তু তা হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে বিয়ে হলো তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
এই বিষয়ে নাবালিকা পরীক্ষার্থীর মা বলেন, ‘একবছর আগে মেয়ের মতামত নিয়েই বিয়ে হয়েছে। জোর-পূর্বক নয়। আমি চাই ও ভালোভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিক।’ পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর পরেই ওর যন্ত্রণা শুরু হয়। হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নাবালিকা হওয়ার সত্ত্বেও কী ভাবে বিয়ে হলো, তা আমাদের জানা নেই। কারণ সে আমাদের স্কুলের ছাত্রী নয়।’
বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে লাগাতার প্রচার চালানোর সত্ত্বেও এমন ঘটনা উঠে আসছে ভুরিভুরি। এই বিষয়ে জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক অর্জুন দত্ত বলেন, ‘বছরে প্রায় ৪০০-৪৫০ নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা হয়। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে একাধিক প্রকল্প, স্কুলে-স্কুলে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। তারপরেও আটকানো যাচ্ছে না।’