• রেশনের চালে পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে কানাডার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রাজ্যের
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রেশনের চালের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে রাজ্য খাদ্যদপ্তর। কানাডায় নথিভুক্ত নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সংস্থাটির এদেশের সদর দপ্তর দিল্লিতে। রেশনের চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির (ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রাম) বিষয়ে রাজ্য খাদ্যদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দেবে এই সংস্থাটি। তার জন্য এখানে একটি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ‌‌ইউনিট গঠন গড়বে তারা। এই ইউনিটে রাজ্য পর্যায়ে টেকনিক্যাল কনস্যালট্যান্ট, মনিটরিং অফিসার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, কেমিস্ট প্রভৃতি থাকবেন। সংস্থার জেলা পর্যায়ের মনিটরিং অফিসারও থাকবেন ১৫ জন। জেলার খাদ্য নিয়ামকের অফিসে বসে যাতে জেলা পর্যায়ের অফিসাররা কাজ করতে পারেন তার জন্য তাঁদের জায়গার ব্যবস্থা করতে খাদ্যদপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ‌ইউনিটকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খাদ্যদপ্তর থেকে।


    কেন্দ্রীয় সরকার রেশনের চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিসহ সরবরাহ প্রকল্পটি নিয়েছে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গরিবদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার জন্য দেশজুড়ে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প হলেও রাজ্যে এটি কার্যকর করার জন্য সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসে রাজ্য সরকার। দেশের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু করা হয়। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের বাইরে রা঩জ্য সরকারের নিজস্ব রেশন প্রকল্পের আওতাভুক্তদের বিশেষভাবে পুষ্টিযুক্ত চাল দেওয়া হয়। পুষ্টিযুক্ত চালের গুণগত মান নিয়ে কিছু অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি রাজ্য সরকার ওই চালের নমুনা উন্নত ল্যাবে নিয়মিত পরীক্ষা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। তার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। 


    বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল তৈরি করা হয়। সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান থেকে নথিভুক্ত রাইস মিলে চাল উৎপাদন করে রেশন দোকানে পাঠানো হয়। রাইস মিলগুলিতে সাধারণ চালের সঙ্গে ফর্টিফায়েড রাইস কারনেল (এফআরকে) মেশানো হয় নির্দিষ্ট অনুপাতে। প্রতি ১০০ কেজি চালের সঙ্গে ১ কেজি এফআরকে মেশানো হয়। এফআরকে উৎপাদনের জন্য রাজ্যে বেশ কিছু ‌ইউনিট তৈরি হয়েছে। রাইস মিল মালিকরাই মূলত এই ‌ইউনিটগুলি তৈরি করেছেন। চাল গুঁড়ো করে তার সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন যুক্ত করে এফআরকে উৎপাদন করা হয়। এফআরকে বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ চালের মতো। প্রতিবছরের শুরুতে এফআরকে কেনার জন্য খাদ্যদপ্তর টেন্ডার ডাকে। এবছর ৪৬,২০০ টন এফআরকের জন্য খাদ্যদপ্তর টেন্ডার ডেকেছে। প্রতিমাসে লাগবে ৩৮৫৩ টন। কোন জেলার জন্য কী পরিমাণ এফআরকে প্রতিমাসে লাগবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বরাত পাওয়া ইউনিটগুলি সরাসরি রা‌‌ইস মিলে এফআরকে পাঠিয়ে দেয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)