বিশ্বজিত্ দাস: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার। দিনে এবং রাতে অবাধে চলছে মাটি পাচার। একশ্রেণীর মাটি মাফিয়া রাত হলেই তাদের দখলে চলে আসে রাস্তা। কাউকে কোনওরকম তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে দিন এবং রাত সব সময় চলছে একের পর এক গাড়ি। মাটি পাচার করতে গিয়ে তাদের গাড়ি এতটাই জোরে চলে যে কাউকে কোনওরকম কেয়ার করে না তারা। সরকার যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা করে নতুন রাস্তা করে দিচ্ছে সেই সমস্ত মাটি রাস্তায় পড়ে ভেঙে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ধুলোর সৃষ্টি হচ্ছে। যাতায়াত করাই দায়। শান্তিপুর থানার হরিপুর পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মেথির ডাঙ্গা গবারচর এই সমস্ত এলাকায় চলে অবৈধ মাটির কারবার। একশ্রেণীর মাফিয়া তারা চাষের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের মদতপুষ্ঠ এই সমস্ত মাফিয়ারা দীর্ঘদিন ধরে যথেষ্টই সক্রিয়।
যদিও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহা তিনি জানিয়েছেন, 'এই বিষয়ে তিনি যুক্ত নয়। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মাটি কারবার চলে আসছে, এটা প্রশাসনের ব্যাপার আমি আমার তরফ থেকে চেয়ারম্যানকে জানাব। সাধারণ মানুষ এদের যন্ত্রণায় নাজেহাল। কাউকে কিছু বলতে পারেন না তাদের ভয়ে। তাদের অনেকেরই দাবি পুলিস প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা সবাই যুক্ত এই অবৈধ কারবারে।'
তিনি আরও বলেন, 'সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকেই দাবি করেন। গত কয়েকদিন আগে আমরা মাটি কাটার ছবি দেখিয়েছিলাম প্রশাসন তৎপর হয়ে বন্ধ করলেও পুনরায় আবার সক্রিয় মাটি মাফিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই মাটি মাফিয়াদের কারবার এখন কতটা বন্ধ করতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে এখন সকলেই।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভায় বারবার বার্তা দিয়ে বলেছেন, নদীর বুক থেকে বেআইনিভাবে মাটি কাটা অথবা বালি তোলা যাবে না। সেই বেআইনি কাজ রুখতে পুলিস প্রশাসনকে কড়া নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথায় তোয়াক্কা না করে দেদার চলছে মাটি চুরি।