• ঘুরল হাতি, উড়ল ড্রোন, হাজারের বেশি গরহাজির হলে
    এই সময় | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • চাঁদকুমার বড়াল ■ কোচবিহার

    এক হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী বসল না মাধ্যমিকে। এর আগে কোচবিহারে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করার পরেও মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করেনি সাড়ে বারো হাজার পরীক্ষার্থী। এ বার পরীক্ষার প্রথম দিনে হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় ফের ড্রপ আউট–এর জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনুপস্থিতির হার বেশি। তবে কি নাবালক অবস্থায় অনেকেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তদন্ত শুরু করেছে জেলা শিক্ষা দপ্তর। ছেলেদের ক্ষেত্রে বাইরে কাজে চলে যাওয়ার প্রবণতা সামনে এসেছে।

    সোমবার মাধ্যমিকের প্রথম দিন বড় কোনও ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা শেষ হয়েছে কোচবিহারে। প্রথম দিন পরীক্ষা দিতে গিয়ে চার জন অসুস্থ হয়েছে। তার মধ্যে মাথাভাঙা ও শীতলখুচির এক জন করে এবং মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জে আরও দু'-একজন রয়েছে। এদের মধ্যে শুধুমাত্র মেখলিগঞ্জের সীমা রায় পরীক্ষা দিয়েছে। বাকি তিন জন পরীক্ষা দিতে পারেনি।

    কোচবিহারে সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার ৪৩ জন ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে ৩৫ হাজার ১৯ জন পরীক্ষা দিয়েছে। এক হাজার চব্বিশ জন সোমবার পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেনি। ১০২৪ জনের মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ৭৬৯ জন। ছাত্র ২৫৫ জন। জেলার যে কয়েকটি কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল, তার মধ্যে সবার উপরে রাজারহাট হাইস্কুল। এখানে ৪৪ জন পরীক্ষা দিতে আসেননি। তারপরই মাথাভাঙা গার্লস হাইস্কুল। এখানে ৩১ জন পরীক্ষা দিতে আসেনি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহার জেলার কনভেনার সঞ্জয়কুমার সরকার বলেন, 'পরীক্ষা ঠিক ভাবেই হয়েছে। এক হাজারের কিছু বেশি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে আসেনি। তাদের ড্রপ আউটই ধরা হচ্ছে।'

    কোচবিহার জেলায় স্কুলের চৌকাঠ পেরোনোর আগেই ড্রপ আউটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তার প্রভাব পড়েছে। আর্থিক দুর্বলতা থাকায় ছাত্ররা পড়াশোনা ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে চলে যাচ্ছে। ছাত্রীদের বিয়েও দেওয়া হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে।

  • Link to this news (এই সময়)