• কিচেন গার্ডেনের সবজি দিয়েই মিড-ডে মিল স্কুলে
    এই সময় | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, মেদিনীপুর: একদিকে চলছে পড়াশোনা। অন্যদিকে সবজি চাষ। সেই জমিতে কাজ করছে স্কুলেরই শিক্ষক–ছাত্ররা। পালং শাক, খসলা শাক, বিভিন্ন প্রজাতির ফুলকপি, বাঁধাকপি, লঙ্কা, বিনস, মূলো, বেগুন, পেঁপে, টমেটো থেকে শুরু করে রকমারি সবজিতে ভরে রয়েছে স্কুলের কিচেন গার্ডেন। শালবনি ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ার–শিক্ষকরা মিলে লোভনীয় এই সবজির বাগানটি তৈরি করেছে। নিয়ম করে জমিকে সবজি চাষ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেন শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা। আবাসিক ছাত্রদের দায়িত্ব একটু বেশি।

    স্কুলের বিশাল ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে ছাত্রাবাস। তারই সামনে তৈরি করা হয়েছে এই সবজির বাগান। এতো ফলন হয়েছে যে এই কিচেন গার্ডেনের সবজি দিয়েই হচ্ছে স্কুলের মিড–ডে মিলের তরকারি। ছাত্রাবাসের রান্নাও হচ্ছে এই কিচেন গার্ডেনের সবজি দিয়েই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়া বলেন, ‘এ সব কিছুই সম্ভব হচ্ছে সহ-শিক্ষক এবং ছাত্রদের চেষ্টায়। সবজি বাগানের তদারকি করেন অমিয় কুমার মান্না এবং সমীর কুমার দে, দেবব্রত সাঁতরা, তারকনাথ দাস, প্রাক্তন ছাত্র এবং স্কুলের অশিক্ষকর্মী শুভদীপ মাহাত শিক্ষকদের সাহায্য করছে পড়ুয়ারা। বাগানের সবজিতেই চলে যাচ্ছে মিড-ডে মিল। পড়ুয়াদের বিভিন্ন ধরনের সবজি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দিতেই এ ধরনের উদ্যোগ। স্কুলে সবজি, ফুল চাষের পাশাপাশি ভেষজ বাগান তৈরি করা হয়েছে।’

    স্কুলের পড়ুয়াদের চাষের কাজে উৎসাহ দিতেও এই কিচেন গার্ডেন অনেক উপকার দিয়েছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রথমে কাজে তেমন উৎসাহ না দেখালেও ফলন হতে শুরু করায় ওদের আগ্রহ বেড়েছে। এখন আর বারবার বলতে হয় না। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে কাজ করে। এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের কথায়, ‘রকমারি মরসুমি সবজি ও বছর ভর ফুল চাষের জন্যও এই স্কুলের সুনাম রয়েছে। শিক্ষক অমিয় কুমার মান্না বলেন, ‘ স্কুলকে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরাও সেই কাজে সহযোগিতা করছে।’ পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েরা যে চাষবাস সম্পর্কে জানতে পারছে তাতে খুশি অভিভাবকরাও।

  • Link to this news (এই সময়)