• ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’-দের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠলে জেলে রেখেই বিচার চায় হাইকোর্ট
    এই সময় | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর এবং এ ধরনের দুর্নীতি প্রশাসনের অভ্যন্তরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে, মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।

    আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তদন্তকারী সংস্থার থেকে নথি পেতে সমস্যা হচ্ছে, এ দিন এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে কড়া নাড়েন সন্দীপ ঘোষ-সহ এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা। মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ট্রায়াল দ্রুত শুরু করতে হবে।

    যদিও এ দিন হাইকোর্টে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, বেশ কিছু নথি এখনও সিবিআইয়ের থেকে পাওয়া যায়নি। পাল্টা সিবিআই আদালতে জানায়, সোমবার যাবতীয় নথির স্ক্যান কপি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের পাঠানো হয়েছে।

    এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে সমস্ত অভিযুক্তের আইনজীবীরাই অভিযোগ করেন, সিবিআইয়ের কাছে নথি পেলেও সমস্ত ইনডেক্স এবং পাতার ক্রম নেই। বিচারপতি বাগচি এ দিন সমস্ত পক্ষকে আরও এক সপ্তাহের সময় দেন সমস্ত নথি সঠিকভাবে সংগ্রহের জন্য। সিবিআইকে সমস্ত কপি বুধবারের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দিতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের।

    মামলাটির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযোগ খুব গুরুতর। অভিযুক্তরা সকলে জেলে। সরকারি ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হলে মানুষের বিচার ব্যবস্থার প্রতি ভরসা থাকবে না। দুর্নীতি করে স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রকে কালিমালিপ্ত করা গুরুতর অভিযোগ। আদালত মনে করে একজন সরকারি কর্মী (পাবলিক সার্ভেন্ট)-র বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠলে তাঁকে বা তাঁদের জেলে রেখেই বিচার করা উচিত।’

    বিচারপতি বাগচির সংযোজন, ‘সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আদালত মনে করছে ট্রায়াল দ্রুত হওয়া জরুরি।

    সিবিআই ও অভিযুক্তদের আইনজীবীদের নির্দেশ যাবতীয় নথি আদানপ্রদান করুন। প্রয়োজনে শনি-রবিবারেও এই কাজ করুক সব পক্ষ।’ আলিপুর আদালতকে নতুন করে ট্রায়ালের দিন ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী মঙ্গলবার ফের মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টে।

  • Link to this news (এই সময়)