সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের বসিরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক সিরিয়া পারভিনের উপরে হামলার অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বাদুড়িয়ার যশাইকাঠি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারিক হাসানের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারিক। সিরিয়ার উপরে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। রাতেই তারিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিরিয়া। পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনায় ফের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।
বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়? কী অভিযোগ করেছেন সিরিয়া?
তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদিকা সিরিয়া পারভিনের অভিযোগ, তিনি ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন। তাঁর গাড়ি আটকে ভাঙচুর করা হয়, মারধর করা হয় নিরাপত্তারক্ষীকেও। তাঁকে গাড়ি থেকে টেনে বার করে শ্লীলতাহানিও করা হয়। ঘটনায় তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন বাদুড়িয়ার যশাইকাঠি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারিক হাসানের বিরুদ্ধে। সিরিয়ার দাবি, তারিকের অনুগামীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
পাল্টা সরব তারিক
যদিও সিরিয়ার এই যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তারিখ। তিনি বলেন, ‘এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। তিনি আমার দলের একজন নেত্রী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করব না।’ তিনি সিরিয়ার উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বলেও জানান। সিরিয়া তাঁর নামে অহেতুক অপবাদ দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, সিরিয়া পারভিন একসময়ে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সন্দেশখালি যখন উত্তাল সেই সময়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেখানে গিয়েছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে সেখানে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সিরিয়াকে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।
ঘটনায় সুর চড়িয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বসিরহাট বিজেপির যুব সভাপতি পলাশ সরকার কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের থেকে সেই দলেরই নেত্রীরা সুরক্ষিত নন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অসুস্থতার জন্য আপাতত তিনি এলাকার বাইরে রয়েছেন। জেনে এ বিষয়ে জানাবেন। বসিরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল রহিম দিলুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি জবাব দেননি। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি শমীক রায় অধিকারীও জানান, তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। না জেনে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।