কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া মমতা কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন? তোপ শুভঙ্করের
আজ তক | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এখনও এক বছর বাকি। তবে এখন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে দাবি করেন ছাব্বিশের ভোটে তাঁর দল দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। এরই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। বললেন, 'কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া কোনওদিন কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন মমতা?'
২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে বামেদের হারিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবার সনিয়া গান্ধীর দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সেবার পায় ১৮৪ আসন। কংগ্রেস দখল করে ৪২টি। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন শুভঙ্কর সরকার।
কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বলেন, 'কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন? তৃণমূলের সেই সব দিনের কথা মনে নেই? ২০১১ সালের ভোটে সনিয়া গান্ধী অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। প্রতিটি বুথে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে তা নিশ্চিত করেছিল কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড। সেবার স্বচ্ছ্বভাবে ভোট হয়। তারপর থেকে এই বাংলায় কি একটাও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে? রাজ্যবাসী এই কথা সব থেকে ভালো জানে।'
২০১১ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার পর থেকে কংগ্রেস-সহ প্রায় সব দলের বিধায়কদের একাংশ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাতে ক্রমাগত শক্তি হারিয়েছে কংগ্রেস ও বাম দলগুলো। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে বিধায়কদের নিজের দলে সামিল করেছে রাজ্যের শাসকদল। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস কোনওদিন এই অভিযোগগুলোকে আমল দেয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিশ্বাস করেন যে রাজ্যে কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই তাহলে তিনি বারবার কংগ্রেসকে নিয়ে কথা বলেন কেন?
এই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসই দায়ি বলেও দাবি করেন শুভঙ্কর সরকার। বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের জন্যই বিজেপি ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে রাজ্যে।'