মনোজ মণ্ডল: গুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বামুনিয়া অঞ্চলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। গুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বামুনিয়ার বাসিন্দা বছর ১৫-র সোনালি খাতুন গুমার রবীন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্রী ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম ভাষার পরীক্ষা দিতে সোমবার রাজিবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যায়।
পরিবারের সদস্যর অভিযোগ, পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পর-ই একটি ফোন আসে। তারপরেই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর নিজের ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ও গামছা দিয়ে দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । সোনালির বন্ধুরা জানিয়েছে, জসিম দফাদার নামে বছর ২২-এর এক যুবক দীর্ঘ ২ বছর ধরে তাকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত। প্রথমদিকে সম্পর্ক থাকলেও তারপর তাতে ভাটা পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই যুবকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিল সোনালি। সেই থেকেই সোনালিকে উত্যক্ত করা শুরু।
সোমবার সকালে প্রথম ভাষার পরীক্ষা দিয়ে সোনালি বাড়ী ফিরে আসার পরই একটা ফোন আসে। সেই সময় ফোনে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল বলেও দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে তার কোনও খোঁজ না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। সাড়া না পেয়ে ঘরে খোঁজ করতে গেলেই দেখে, ঘরের দরজা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ।
এরপরই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ঘরের ভিতর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাকে বারাসত সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । ওদিকে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিস।