বন্যা থেকে বাঁচতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কতদূর এগোল? চলতি সপ্তাহেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
প্রতিদিন | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। বর্ষার মরশুমে বন্যার হাত থেকে ঘাটালবাসীকে বাঁচাতে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না থেকে রাজ্যই নিজের অর্থে এই মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার পথে হেঁটেছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কতদূর এগোল সেই কাজ, কতটাই বা বাকি? সব খতিয়ে দেখতে আগামী ১৬ তারিখ, রবিবার ঘাটালে হবে বৈঠক। সেচ দপ্তরের তরফে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। থাকবেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। আর তাতে আশা আরও উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করছেন ঘাটালবাসী।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘাটালের সাংসদ দেবের অনুরোধ রেখে এবং ঘাটালবাসীর সমাধানের কথা মাথায় রেখে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় রাজ্য সরকার। প্রতি বর্ষায় ঘাটালকে বানভাসি হওয়া থেকে বাঁচাতে এই পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি। আর তার গুরুত্ব বুঝেই কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী থেকে আর সময় নষ্ট না করে নিজেরাই কাজে হাত লাগানোর পক্ষপাতী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে সেচদপ্তর। ২০১১ সালে ডিপিআর অনুযায়ী এই কাজের অন্যতম অংশ শিলাবতী নদীর বাঁদিকে পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার গার্ডওয়াল নির্মাণ। সেই কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া দুটি পাম্প হাউস তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে কাঁসাই, রূপনারায়ণ নদীবাঁধের সংস্কার করার কথা। তার জন্য সেচদপ্তরে তোড়জোড়ও চলছে। এভাবেই কাজ এগোচ্ছে।
সেই কাজ কতটা এগোল এখন পর্যন্ত? আরও কতটা বাকি? আগামী বর্ষার মরশুমেও কি ফি বছরের মতো বানভাসি হতে হবে ঘাটালকে নাকি কিছুটা হলেও সুরাহা মিলবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আগামী ১৬ তারিখ ঘাটালে বৈঠক করবে সেচদপ্তর। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা নিজে। স্থানীয় নেতৃত্ব ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনায় উঠে আসবে মূলত বাস্তবায়নের রূপরেখা। কীভাবে সমস্ত বিষয়টি দ্রুত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়, সেদিকেই এখন নজর। বিশেষত ছাব্বিশের ভোটের আগে এই মাস্টার প্ল্যানের অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।