ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। জামিন পাওয়ার পরই বন্দি থাকাকালীন সময়ের বকেয়া বেতনের জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মোতাবেক বেতন পাওয়ার কথা নয় মানিকের। এদিকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় এ সংক্রান্ত রুল জারি করেননি, ফলে আদৌ বকেয়া বেতন পাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঝুলেই রইল মানিকের ভাগ্য।
ঘটনার সূত্রপাত প্রায় বছর দুয়েক আগের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তারপর থেকে দীর্ঘসময় তিনি জেলবন্দি। সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তারপরই বিধানসভার টিএ-ডিএ সেকশনে জমা দিয়েছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক বিল। একইসঙ্গে জেলে থাকাকালীন সময়ের বকেয়া বেতনের আর্জিও জানান তিনি। বারবার আবেদনের পর এবিষয়ে এজির পরামর্শ চান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এজি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী জেলে থাকালীন সময়ের বেতনের টাকা পাবেন না মানিক।
জানা গিয়েছে, বেতন না পেলেও মেডিক্যাল বিল পাবেন তিনি। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে বিধানসভার স্পিকার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের সঙ্গে। জেলের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দি থাকাকালীন মানিকবাবুর জন্য বাইরে থেকে বেশ কিছু ওষুধ আনতে হয়েছে। বিধানসভায় বিল পাঠালে সেই ওষুধের টাকা মিলবে বলে খবর। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত বিধায়করা তাঁর কিংবা স্ত্রীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালের বিল বিধানসভায় জমা দেওয়ার সুযোগ পান। সেই টাকা তাঁরা ফেরতও পান। বহু বিধায়কের জটিল রোগের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে বিধানসভা। মেডিক্যাল বিলের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকে না। শুধুমাত্র চশমার ক্ষেত্রে খরচের উর্ধ্বসীমা বাঁধা রয়েছে ৫ হাজার টাকা।