‘অভিযোগ গুরুতর, দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন’, আর জি কর দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গোবিন্দ রায়: আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের। মঙ্গলবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ছিল। সিবিআই সমস্ত নথি পেশ করতে না পারায় শুনানি পিছিয়ে যায় আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত। সিবিআইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী দিন ঘোষণার আগে আগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের মন্তব্য, ”এই ধরনের দুর্নীতি প্রশাসনের অভ্যন্তরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং প্রশাসনকেও তা দূষিত করে তোলে। তাই কোনও বিলম্ব না করে জনস্বার্থে দ্রুত মামলাটির শুনানি শুরু হওয়া প্রয়োজন।”
সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুধু তিনি নন, তাঁর ঘনিষ্ঠরাও এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর তার তদন্তের পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভারও যায় সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চে সন্দীপের আইনজীবীরা জানান, এখনও পর্যন্ত এই মামলা সংক্রান্ত ৪৬২ টি নথির মধ্যে সিবিআইয়ের থেকে তাঁরা মাত্র ২১৬টি নথি হাতে পেয়েছে। তা শুনে বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, ১২ তারিখ অর্থাৎ বুধবারের মধ্যে বাকি নথি হস্তান্তর করতে হবে আইনজীবীদের। তারপর ১৮ তারিখ শুনানি হবে।
এ প্রসঙ্গেই দুই বিচারপতির বক্তব্য, আদালত মনে করছে সন্দীপের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। সমাজজীবনে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। আইন মেনে দ্রুত বিচার হলে সাধারণ মানুষের মনে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এই মামলায় সরকারি আধিকারিকরাও যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়া দরকার।