ক্লাসে দুষ্টুমি করায় শিক্ষিকা অভিভাবকের ফোন নম্বর চেয়েছিলেন। তাতেই ভয় পেয়ে যায় সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী। মনে হয়েছিল, বাবা-মা জানতে পারলে খুব বকবে। সেই ভয়েই স্কুলের বাথরুমে গিয়ে ফিনাইল খেয়ে ফেলে তারা। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের একটি স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। তড়িঘড়ি দুই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিপদন্মুক্ত দু’জনই। এই ঘটনায় চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, ‘পড়ুয়াদের তো বকাবকি করতে পারি না। অভিভাবকদেরও যদি কিছু না জানাই, তাঁরা তো আমাদেরই বলবেন। কিন্তু এ রকম হলে তো মুশকিল।’ দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার একটি স্কুলে পড়ে তারা। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে ক্লাসে খুবই দুষ্টুমি করছিল। ক্লাসের মনিটর তাদের নামে শিক্ষিকাকে জানায়। এর পরই ওই দিদিমণি তাদের ডেকে অভিভাবকের ফোন নম্বর চান। বলেন, বাড়িতে যোগাযোগ করবেন। তারা ক্লাসে কী করে, তা জানাবেন।
এক ছাত্রীর কথায়, ‘ম্যাডাম আমাদের গার্জিয়ানের নম্বর নিয়েছিলেন। তাই শুনে আমার ওই বান্ধবী বলল, ম্যাডাম এমনিই গার্জিয়ান কল করবেন, বাবার হাতে মারা যাব। ও বলল, চল বাথরুমে চল, ফিনাইল খেয়ে নিই।’
বাথরুম পরিষ্কারের জন্য ফিনাইল রাখা ছিল। সেখান থেকেই তারা খেয়ে ফেলে। ছাত্রীদের পরিবারের লোকজন জানান, ওরা বাচ্চা। ভয়ে এমনটা করে ফেলেছে। তবে বড় বিপদ হয়ে গেলে তার জবাব কে দিত?স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, বাচ্চাদের কিছু বলা হয় না। কিন্তু অভিভাবকদের না জানালে পরে তাঁরাই স্কুলের কাছে জবাব চাইবেন। এ রকম যে ঘটতে পারে, কেউ ভাবতেই পারেননি।