মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলির ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি গঙ্গার ঘাটে কুম্ভমেলার সূচনা উপলক্ষে চলল সন্ধ্যা আরতি। গঙ্গার ঘাটে জ্বলল ১০ হাজার মাটির প্রদীপ ৷ এই আরতি দেখতে ঘাটে ভিড় জমালেন বহু মানুষ। প্রশাসনের তরফে ঘাটগুলিতে স্পিডবোট ও পুলিশি নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল।
বুধবার মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে বহু সাধুসন্তদের সমাগম ঘটবে হুগলির ত্রিবেণী সঙ্গমে। ইতিমধ্যেই বহু সাধু আসতে শুরু করেছেন। আগামীকাল হবে পূর্ণস্নান। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে ত্রিবেণী সঙ্গমের এই কুম্ভমেলায়।
প্রয়াগরাজে যেমন গঙ্গা যমুনা-সরস্বতী সঙ্গম আছে তেমনই ত্রিবেণীতেও আছে তিন নদীর সঙ্গম। প্রয়াগ হলো যুক্তবেণী আর ত্রিবেণীকে বলা হয় মুক্তবেণী। হুগলির এই ত্রিবেণীকে দক্ষিণ প্রয়াগও বলা হয়। মেলা কমিটির দাবি, ত্রিবেণী সঙ্গমস্থলে ৭০০ বছর আগে কুম্ভ মেলা হতো। গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে সাধুসন্তরা এই ত্রিবেণীতে বিশ্রাম নিতেন। ত্রিবেণী হয়ে উঠত মিনি কুম্ভ। মঙ্গলবার এই মেলা শুরু হয়েছে। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
কুম্ভ পরিচালন সমিতির মুখ্য পরিচালক কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিবেণী বঙ্গীয় কুম্ভ মেলা নতুন করে শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। এ বার পঞ্চম বছর। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন যজ্ঞ, ধর্মীয় সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি হয়েছে বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় নাগা সন্ন্যাসী ও অন্যান্য সাধুসন্তরা কুম্ভের মাঠে এসে উপস্থিত হবেন। স্পোটিং ক্লাবের মাঠ থেকে সকাল ন’টায় শুরু হবে শোভাযাত্রা। সেখানে দুটো ঘোড়ার গাড়ি-সহ বিশেষ গাড়িতে করে শোভাযাত্রা উপস্থিত থাকবেন সাধুরা। প্রায় দুই কিলোমিটার পথ যাবে এই শোভাযাত্রা। ডাকাত কালীমন্দির থেকে সপ্তর্ষি ঘাটে এসে নাগা সন্ন্যাসীরা প্রথমে সকাল ১১টা নাগাদ স্নান করবেন। সাধুদের স্নানের পরেই সাধারণ মানুষ স্নান করতে পারবেন।’