কথায় আছে ‘প্রেম মানে না বাধা’। তার উপর ‘প্রমিস ডে’ বলে কথা! প্রেমিকাকে দেওয়া কথা রাখতেই হবে। সেই কথা রাখতেই সোমবার গভীর রাতে সবংয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে বাইক রেখে প্রেমিকার বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল যুবক। শুনশান রাস্তার চালকের খোঁজ না পেয়ে বাইক তুলে নিয়ে যায় টহলরত সবং থানার পুলিশ কর্মীরা। মঙ্গলবার ‘ভোরের আলো’ ফুটতে বাইক না পেয়ে চুরির গল্প ফাঁদে ওই যুবক। থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েই বিপাকে সেই প্রেমিক-যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে মোহাড় থেকে বাইক ছুটিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে সবংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই যুবক। প্রেমিকার বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে বাইক রেখে, হাঁটি হাঁটি পায়ে পৌঁছে যায় প্রেমিকার বাড়ির সামনে। গভীর রাতে শুনশান রাস্তার পাশে দামি একটি বাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় টহলরত সবং থানার পুলিশকর্মীদের। বাইক চালকের খোঁজ না পেয়ে, বাইকটি থানায় তুলে নিয়ে যান তাঁরা।
মঙ্গলবার ‘ভোরের আলো’ ফুটতে ওই জায়গায় এসে প্রেমিক দেখেন তাঁর বাইক নেই! বাড়ি ফিরে গিয়ে বাইক চুরির গল্প ফাঁদেন তিনি। তাঁর কথা বিশ্বাস করে নেন বাবা-মা-ও! পরিকল্পনা করে, বাইক চুরি গিয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ পত্র লেখেন তিনি।
তাতে লেখা হয়, বাড়ির দরজা ভেঙে গভীর রাতে বাইক চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা! সেই অভিযোগ পত্র-সহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মা-কে সঙ্গে নিয়ে সবং থানায় যান বছর ২০-র ওই যুবক। অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। কারণ, অভিযোগ পত্রে লেখা বাইকের নম্বর আর তাঁদের উদ্ধার করা বাইকের নম্বর হুবহ এক।
পুরো বিষয় জলের মতো পরিষ্কার হতেই প্রেমিক-যুবক’কে আটক করে পুলিশ। রাত্রি ১০টা অবধি যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সবং থানার পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘মিথ্যা গল্প ফেঁদে পুলিশকে বিভ্রান্ত যখন করেছে, বাইক ফিরে পেতে একটু তো বেগ পেতেই হবে বাছাধনকে!’