• চণ্ডীপুরে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে চারলক্ষ টাকা দান প্রবীণ শিক্ষকের  
    বর্তমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দায় বসে ক্লাস করে খুদে পড়ুয়ারা। উমপুন সাইক্লোনে টালির ছাউনি দেওয়া স্কুল বিল্ডিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মেরামতের টাকা পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় স্কুলে কংক্রিটের বিল্ডিংয়ের জন্য চার লক্ষ টাকা দান করলেন প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। চণ্ডীপুর ব্লকের পুরুষোত্তমপুরের ঘটনা। 


    ওই ব্লকেরই ডিহি পুরুলিয়া প্রাইমারি স্কুল থেকে ২০১৪ সালে অবসর নেন শ্রীপতিকুমার বেরা। পুরুষোত্তমপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। নিজের গ্রামের স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় বারান্দায় বসে ক্লাস করার ঘটনায় ব্য‌঩থিত ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নতুন ক্লাসরুমের জন্য চার লক্ষ টাকা দান করেছেন। সেই টাকায় এখন বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। 


    চণ্ডীপুর ব্লকের নরঘাট চক্রের অধীনে পড়ে পুরুষোত্তমপুর আত্যয়িক প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৪জন। স্কুলে দু’জন স্থায়ী শিক্ষক এবং আরও দু’জন পার্শ্বশিক্ষক আছেন। ২০২৪সালে স্কুলে ৭৪জন ছাত্রছাত্রী ছিল। কিন্তু, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় অভিভাবকদের একাংশ পড়ুয়াদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় স্কুল ভবন তৈরির জন্য এগিয়ে আসেন ওই গ্রামেরই প্রবীণ শিক্ষক শ্রীপতিবাবু। গত বছর ১০নভেম্বর তাঁর স্ত্রী রাধারানি বেরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্ত্রীর স্মৃতিতে তিনি গ্রামের স্কুলে একটি শ্রেণিকক্ষ বানানোর জন্য ওই অর্থ সাহায্য করেছেন। শ্রীপতিবাবু দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতিও ছিলেন।


    তিনি বলেন, গ্রামের স্কুলের বেহাল অবস্থা দেখে নিজের খুব খারাপ লাগত। তাই আমি একটা ক্লাসরুম তৈরি করতে চার লক্ষ টাকা দিয়েছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রশেখর মান্না বলেন, শ্রীপতিবাবুর এই উদ্যোগকে শুধু স্কুল নয়, গোটা এলাকাবাসী সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)