• ফরেস্টডাঙায় সরকারি জমি দখল রুখল ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর
    বর্তমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপের ফরেস্টডাঙা কলেজ মোড়ে সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সেই জমি দখল রুখতে নবদ্বীপ ব্লক ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর ব্যবস্থা নিল। সোমবার দুপুরে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে দখলদারি সরিয়ে নোটিসবোর্ড লাগিয়েছে তারা। জমি দখল করলে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ, ওই এলাকায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনেক জমিও দখল হয়ে পড়ে আছে। সেই সমস্ত জমিও পুনরুদ্ধারের দাবি উঠেছে।


    কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, বিএলএলআরও রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন। পুলিসকে আইন অনুযায়ী ওই সরকারি জমি রক্ষণাবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।


    মাজদিয়া–পানশিলা পঞ্চায়েতের ফরেস্টডাঙায় ওই সরকারি জমিতে বেশ কয়েক বছর রেলের একটি ওয়ার্কশপ ছিল। ভাগীরথীর উপর ফরেস্টডাঙা থেকে মহিশুরা পর্যন্ত একটি রেলসেতু তৈরি হয়েছে। সেই সেতুর সরঞ্জাম তৈরির জন্য রেল ওই ওয়ার্কশপ করেছিল। সম্প্রতি রেল ওয়ার্কশপটি সরিয়ে নেওয়ায় প্রায় পাঁচ একর জমিটি ফাঁকাই পড়েছিল। স্থানীয় কয়েকজন জায়গাটি দখল করে পাঁচিল দিয়ে নির্মাণকাজ করার পরিকল্পনা করেছিল। খবর পেয়েই ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর গিয়ে ওই নোটিসবোর্ড লাগিয়ে দেয়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘এই জমি/সম্পত্তির মালিক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জমি দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ জমি দখলের চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


    স্থানীয় এক গ্রামবাসী বলেন, এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবী। দখলদারদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। তবে আমরা চাই, এই পাঁচ একর জায়গায় কোনও সরকারি প্রকল্প বা কারখানা হোক। তাহলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুরজ চৌধুরী বলেন, সোমবার বিএলএলআরও দপ্তর থেকে এসে ওই জায়গায় নোটিস বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে।


    ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় কিছু মানুষ জমিটি দখলের চেষ্টা করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এরপর আমাদের দপ্তরের তরফে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে দখলদারকে সরানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)