• মাঝ রাস্তায় বাস খারাপ, ৩৮ পরীক্ষার্থীকে সেন্টারে পৌঁছে দিল গলসি থানার পুলিস
    বর্তমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যা হওয়ায় এগিয়ে এল গলসি থানার পুলিস। এদিন পুলিসের তৎপরতায় ৩৮জন পরীক্ষার্থী নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। পুলিস জানায়, পরীক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে বাড়তি নজর রাখা হয়েছে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা-বর্ধমান বাসে চড়ে ৩২জন পরীক্ষার্থী গলসিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে আসছিল। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে, বনসুজাপুর রেলগেটের কাছে আচমকাই বাসটি খারাপ হয়ে যায়। প্রথমে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পরীক্ষার্থীরা অন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তারা হাঁটতে শুরু করে। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। এমন সময় বিষয়টি এলাকার এক ভিলেজ পুলিসের নজরে আসে। তিনি গলসি থানায় জানান। দ্রুত তৎপর হয়ে থানা থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ওই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায়। এক পরীক্ষার্থী বলে, ইংরেজি পরীক্ষা দিতে পারব কি না ভয় হচ্ছিল। পুলিস গাড়ির ব্যবস্থা না করলে আমরা সময়ে পৌঁছতে পারতাম না। পরীক্ষা ভালো হয়েছে। এছাড়াও, এদিন আরও ছয় পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়ে। গলসি থানায় খবর আসে, গলিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে ছয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দীর্ঘক্ষণ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওসি অরুণকুমার সোম দ্রুত গাড়ি নিয়ে গলিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন। ছয় পরীক্ষার্থীকে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে গলসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কালিমতীদেবী উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন। পরীক্ষার্থী সাথী ঘোষ, ঊর্মিলা বাগদিরা বলে, রাস্তায় কাজ চলায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছিলাম না। কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাব, তা ভেবে খুব চিন্তা হচ্ছিল। ওসি স্যারকে কেউ ফোন করে জানিয়েছিল। তারপরই উনি থানার গাড়ি নিয়ে আসেন। উনি না এলে আজ পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে যেত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুলিস এগিয়ে না এলে ওই পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতো। তবে ওসি অরুণবাবু বলেন, এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব।
  • Link to this news (বর্তমান)