• ট্রেনেই যাতায়াত করি, এমনটা অতীতে কখনও হয়নি: মুন্নি
    বর্তমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: দেড় মাস আগে স্ট্রোক হয়ে কাকা মারা যান। সেই খবর পেয়ে ওদলাবাড়ি থেকে আবুতারা এসেছিলেন মুন্নি। বামনহাট-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জারে করেই বাপেরবাড়ি যাতায়াত করেন তিনি। নির্বিঘ্নে ফিরেও গিয়েছিলেন তারপরের দিনে। রবিবার ছিল পারলৌকিক কাজ। সেই উপলক্ষ্যে মেয়ে, ছেলের বউ সহ নাতি-নাতনিদের নিয়ে মুন্নি খাতুন এসেছিলেন বাপেরবাড়ি। মঙ্গলবার একই ট্রেনে বাড়ি ফেরার জন্য বামনহাট স্টেশনে আসেন। টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেন ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। সেই সময় সান্টিংয়ের কাজ চলছিল। আচমকা বগিতে জোরে আঘাত হানে ইঞ্জিন। বগি থেকে ছিটকে পড়ে যায়  বছর পাঁচেকের মহম্মদ আয়ান। প্ল্যাটফর্মে পড়ে যাওয়াতে প্রাণে বেঁচে যায়। সিটের তলায় গড়িয়ে যায় রুকসানা খাতুন। মাথায় চোট পান মুন্নি। তাঁর মেয়ে রেণু খাতুন আঘাত পান পায়ে। তাঁর বউমা অছিনা বিবিও আঘাত লাগে। মুন্নি পরিচারিকার কাজ করেন। ওদলাবাড়িতে বাড়ি। বউমা টেইলারিংয়ের কাজ জানে। সম্প্রতি স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের কাজ পেয়েছেন। 


    শাশুড়ির বাপের বাড়ি থেকে ফেরার পরে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করার কথা। সেই কারণেই বাড়ি ফেরার তাগদা ছিল। মুন্নি বলেন, বাসে যাতায়াত করতে পারি না। সেই কারণেই এই ট্রেনে চেপে প্রতিবারই বাপেরবাড়ি আসি। এবারেই প্রথম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলাম। নাতি যদি ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে না পড়ে লাইনে পড়ত তাহলে হয়তো বাঁচতই না। উপরওয়ালার কৃপায় রক্ষা পেয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)