বিধানসভায় ‘হারানো’ মোবাইল উদ্ধার হল হস্টেলে বিধায়কের বালিশের নীচে!
বর্তমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিধানসভায় ‘খোয়া গিয়েছে’ মোবাইল। আর সেটাই মিলল এমএলএ হস্টেলে! ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ‘মোবাইল কাণ্ডে’ হইচই পড়ে গেল বিধানসভার অলিন্দে। এমন অভিযোগ আনার আগে বিধায়কদের সব জায়গায় মোবাইল খোঁজা উচিত বলেই মনে করে সচিবাচলয়।
মঙ্গলবার বিধানসভার লবির সোফায় বসেছিলেন হুমায়ুন। তারপর অধিবেশন কক্ষে চলে যান তিনি। তাঁর দাবি, লবিতে বসে থাকাকালীন তাঁর হাতে আই ফোন ছিল। ভুলবশত সেখানে ফোনটি ফেলে রেখে চলে যান। কিন্তু অভিযোগ, মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ফিরে এসে সেখানে আর মোবাইলটি তিনি পাননি। এরপর বিধানসভার মার্শালের কাছে অভিযোগ জানান হুমায়ুন কবীর। সেইমতো বিধানসভা চত্বরজুড়ে শুরু হয় তাঁর মোবাইল খোঁজাখুঁজি! খবর যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। পুলিস এসেও তল্লাশি করে বিধানসভার লবিতে। বেশ কিছুক্ষণ পর লোকেশন ট্র্যাক করে মোবাইলটি উদ্ধার হয় এমএলএ হস্টেলে হুমায়ুনের থাকার ঘরে বালিশের নীচে!
বিধায়কের বক্তব্য, মোবাইল সেখানে কীভাবে চলে গেল, বুঝতে পারছি না। তবে বিধানসভার সচিবালয়ের আধিকারিকদের বক্তব্য, মোবাইল ফোনটি হস্টেলের ঘরেই যে তিনি ফেলে এসেছেন, বিধায়ক তা ভুলে গিয়েছিলেন। ফলে খোয়া যাওয়ার অভিযোগ আনা কিংবা পুলিসি তল্লাশির ঘটনার আগে বিধায়কের উচিত ছিল, মোবাইলটির আরও খোঁজ করা। বিধায়কের আরও সংযত ও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
অন্যদিকে, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সম্প্রতি তিনি জামিনে ছাড়া পান। বিধানসভার কাছে তিনি আবেদন করেছেন, জেলবন্দি থাকাকালীন সময়ের বেতন-ভাতা তাঁকে দেওয়া হোক। এই ব্যাপারে মঙ্গলবার শুনানি হয়েছে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন মানিক। তবে কোনও সিদ্ধান্ত তাঁকে জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, জেলবন্দি থাকাকালীন মানিক বিধানসভায় এসে হাজিরা খাতায় সই করতে পারেননি। ফলে কীভাবে তাঁকে বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।