নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: মঙ্গলবার সাত সকালে গোঘাটের উল্লাসপুরে বেপরোয়া লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস গেলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তা চওড়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেটুটি সংকীর্ণ অবস্থাতেই রয়েছে। তাই ওই সেতু চওড়া করার দাবিতে তাঁরা সরব হন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মাজেদা বিবি(৫৮)। বাড়ি ওই এলাকাতেই।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ মাজেদা বিবি বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি দোকানে যান। সেখান থেকে মুড়ি, চানাচুর কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা উল্লাসপুর থেকে শাওড়াগামী লরিটি সংকীর্ণ সেতুতে প্রৌঢ়াকে পিছন থেকে ধাক্কা মারলে তার চাকায় পিষ্ট হন। ঘটনাস্থালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাসিন্দারা লরিটি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাশাপাশি লরির চালক ও খালাসিকেও আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেন। গোঘাট থানার পুলিস সেতু সম্প্রসারণের ব্যাপারে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিস সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এদিন সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান গোঘাটের কুমুরসা পঞ্চায়েতের প্রধান রবীন্দ্রনাথ দে। তিনি বলেন, পূর্তদপ্তর রাস্তাটি নির্মাণ করেছে। কিন্তু সেতুটি কংসাবতীর শাখা খালের উপর থাকায় তা সেচ দপ্তরের অধীনে রয়েছে। এদিনের ঘটনার পর ওই সেতু সম্প্রসারণের জন্য আমরা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এমনকী, যাতে ওই রাস্তায় যানবাহনগুলি নিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল করে তা দেখার জন্য প্রশাসনকে জানাব।