• জলের ট্যাঙ্কে মোবাইল ফেলে দিয়েও পুলিশের জালে ধৃত ১৬
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, তমলুক: কলসেন্টারের নাম করে চলত সাইবার প্রতারণা। এ ভাবে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছে কলকাতার দমদমের একটি কলসেন্টার। পুলিশের দাবি, ওই কলসেন্টারে মহিলারা কাজ করতেন। সোমবার পাঁশকুড়া ও দমদম থানার পুলিশ হানা দিতেই ফোনগুলি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিলেন কলসেন্টারে কর্মরত মহিলারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

    ১৬ জন মহিলা–সহ ওই কলসেন্টারের মালিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কলসেন্টারের মালিক ঘনশ্যাম হালদারকে মঙ্গলবার তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আর ১৬ জন মহিলার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা দায়ের হয়।

    পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তাপস হাজরা ৬ লক্ষ টাকা খুইয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

    তাপসের অভিযোগ, অচেনা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে অফার দেওয়া হয়, বাড়িতে বসে কাজ করলে মিলবে টাকা। সেই নম্বরে ফোন করতেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১২৫০ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা পাঠানো হতেই ধাপে ধাপে আরও টাকা চান প্রতারকরা। তাপসও কাজের আশায় সেই টাকা পাঠাতে থাকে। তাঁর দাবি, এ ভাবে ৬ লক্ষ টাকা তিনি প্রতারকদের দিয়েছেন। একসময়ে বুঝতে পেরে পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ জানান।

    ২০২৪ সালে জুলাই মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্তে নেমে মোবাইল ট্র্যাক করে শুক্রবার চন্দননগর থেকে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ দমদমের এক কলসেন্টারের হদিশ পায়। এরপর অভিযান চালানো হয়।

  • Link to this news (এই সময়)