• সিবিআই–নজরে প্রশাসন ও আইবি–র অফিসাররাও
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ভুয়ো নথির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে বেআইনি নিয়োগের চক্রে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা বা আইবি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কেউ কেউ জড়িত বলে সন্দেহ করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, পুলিশ–প্রশাসনের একাধিক কর্মী–আধিকারিকের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে চক্রের চাঁই হিসেবে ধরা পড়া সেনা জওয়ান মহেশ কুমার চৌধুরীকে জেরা করে পাওয়া তথ্য থেকে।

    সিবিআই সূত্রের খবর, বিহার, উত্তরপ্রদেশের চাকরিপ্রার্থীদের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা হিসেবে প্রতিপন্ন করে তাঁদের নামে ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বার করে দিতেন মহেশ। জেরায় মহেশ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আগেভাগে যোগাযোগ করা ভিন রাজ্যের ওই চাকরিপ্রার্থীরা ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদন করতেন।

    সেই আবেদন প্রথমে পৌঁছত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের একটি দপ্তরে। তার পর আবেদনকারীর আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ডের মতো বিভিন্ন নথি ভেরফিকেশনের জন্য আইবি–র কাছে যেত। উত্তর ২৪ পরগনার ঠিকানায় চাকরিপ্রার্থীদের নামে ওই সব ভুয়ো নথি বানিয়ে রাখতেন মহেশ।

    নথিগুলো দেখে আইবি ‘ওকে’ বলে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট বা ভিআর দেওয়ার পর জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দপ্তরে হতো ডিজিটাল সিগনেচার। তৈরি হয়ে যেত ডোমিসাইল সার্টিফিকেট। সাইটে আপলোড করে দেওয়া ওই শংসাপত্র ভিন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা ডাউনলোড করে তার কালার প্রিন্টআউট নিতেন।

    সিবিআই সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে আইবি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মী–অফিসারকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হতে পারে।

  • Link to this news (এই সময়)