শিয়ালদহ স্টেশনে লোকাল ট্রেনের কামরায় আগুন আতঙ্ক। বুধবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। ভোর হলেও শুনশান ছিল না শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর। ফলে ট্রেনের কামরা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে হুড়োহুড়ি শুরু করেন যাত্রীরা। যদিও ট্রেনের ওই কামরায় কোনও যাত্রী ছিল না। তাই এড়ানো গিয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত এই সময় অনলাইনকে বলেন, ‘কোথাও আগুন লাগেনি। নৈহাটি লোকালে আগুন লাগার খবর ঠিক নয়। ওটা নৈহাটি লোকাল নয়। কোনও ঘোষণাও করা হয়নি। ওটি একটি খালি রেক। পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। প্যান্টো চার্জ করতে যাওয়ার সময়ে রেকের মুখে কাপড় আটকে থাকায় স্পার্ক হয়। রেকটিকে কারশেডে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কাপড় সরিয়ে আবার প্যান্টো চার্জ করা হয়। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।’
আগুনের ফুলকি দেখে প্ল্যাটফর্মে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তৎপরতার সঙ্গে রেলকর্মীরা বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। রেকটি খালি থাকায় বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ভোরে প্রথম নৈহাটি লোকাল ধরার জন্য সে সময়ে যাত্রীদের ভিড় ছিল স্টেশন চত্বরে। এই খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে অফিস টাইম না হওয়ায় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। এ দিন ৪টে ১৯ মিনিট নাগাদ প্রথম নৈহাটি লোকালে রওনা দেন নিত্যযাত্রীরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই উত্তরবঙ্গে একটি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কোচবিহারে বামনহাট স্টেশনে ট্রেনের সঙ্গে জোড়ার সময় সজোরে ধাক্কা মারে ইঞ্জিনটি। ছিটকে পড়ে আহত হন শিলিগুড়িগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। কয়েকজন আহত হয়েছেন, তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে রেল।