• ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কতদূর, দেখতে চান মানস
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করতে চলেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেই সেচ দপ্তরের আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এই বৈঠক হবে।

    রাজ্য সরকারের অর্থে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় শিলাবতী নদীর পাড়ে গার্ডওয়াল নির্মাণ, কংসাবতী ও রূপনারায়ণ নদ সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় পাম্প হাউস তৈরি করা হবে। ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর পাড়ে গার্ডওয়াল নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে স্লুইস গেট নির্মাণের কাজও।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরেও স্লুইস গেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের বর্ষার আগেই স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ঘাটাল শহরে দু’টি বড় পাম্প হাউস তৈরি হবে। প্রাথমিক ভাবে তার জায়গাও চিহ্নিত হয়েছে। এই কাজের অগ্রগতি নিয়ে আগামী ১৬ তারিখ পর্যালোচনা করতে চাইছেন মানস।

    জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শিলাবতী নদীর পাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ গার্ডওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলেও বহু জায়গায় অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। অনেক জায়গায় জবরদখলের সমস্যা আছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করা এখন জেলা প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

    গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে ঘাটালের জোড়াফুল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবের প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে হেতু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ করছে না, তাই রাজ্য সরকার যাতে এই কাজ করে, তার জন্য উদ্যোগী হবেন তিনি।

    ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার নিজস্ব কোষাগারের অর্থে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্প রূপায়নে অন্তত দু’হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। কেলেঘাই–কপালেশ্বরী মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে বন্যার প্রকোপ কমেছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত রূপ পেলে এই জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার হাত থেকে মানুষ রেহাই পাবেন বলে মনে করছে প্রশাসন।

  • Link to this news (এই সময়)