• নবান্নে চিঠি পাঠাল রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম উইং, তদন্তের স্বার্থে প্রস্তাব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বাংলাজুড়ে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। তাও আবার নিত্যনতুন ফাঁদ পেতে। যার জেরে বেশ চাপে পড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্বাস করে ঠকতে হচ্ছে। কৌতূহল নিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে। আবার ওটিপি পাঠিয়েও জালিয়াতি করা হচ্ছে। এই নিয়ে এখন বেশ আতঙ্কে আছেন সাধারণ মানুষ। জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে টাকা খোয়ানোর পর সাধারণ মানুষ কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তাঁরা কোথায় অভিযোগ জানাবেন সেটা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম উইং এবার আলাদা থানা তৈরি করতে চাইছে। তাই এই বিষয়ে চিঠি লিখে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। যা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    এদিকে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে সাইবার ক্রাইম বিভাগ বা সেল আছে। প্রত্যেকটি জেলায় এবং পুলিশ কমিশনারেটে সাইবার ক্রাইম থানা আছে। আর এখানে এসে প্রতারিত মানুষ অভিযোগ জানাতেই পারেন। কিন্তু এখানে একটা অসুবিধা আছে। সেটা হল এই থানার মধ্যে থাকা সাইবার ক্রাইম সেলে উন্নতমানের পরিকাঠামো নেই। যার জেরে তদন্ত করতে গিয়ে বিস্তর অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। আর সাইবার ক্রাইম অপরাধীরা রোজই নিত্যনতুন ফন্দি–ফিকির বের করছে। নতুন পথ ধরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ যখন টের পাচ্ছেন তখন আর কিছুই করার নেই।


    অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে সাইবার ক্রাইম অপরাধীদের মোডাস অপারেন্ডি বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে। এটা বুঝতে প্রয়োজন দক্ষ সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ। তার সঙ্গে দরকার পৃথক সাইবার ক্রাইম উইং। এই পৃথক সাইবার ক্রাইম উইং গড়ে উঠলে জেলাগুলিতে এমন ঘটনা ঘটলে তাদের সাহায্য করা সহজ হবে। কারণ জেলাগুলি থেকে নানা সময় এমন অপরাধের ক্ষেত্রে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। আর তা জোগাড় করে দিতে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। আলাদা থানাই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। জেলায় গিয়ে এমন অপরাধের তদন্ত করতে গেলে সাইবার ক্রাইম উইংয়ের তদন্তকারীরা বেশ সমস্যায় পড়ছেন।

    এছাড়া সাইবার ক্রাইম উইংয়ের পৃথক থানা না থাকায় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই এবার নবান্নে চিঠি লিখে পৃথক সাইবার ক্রাইম থানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মানুষ এখন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে তাই অপরাধও বাড়ছে। সেই অপরাধের কিনারা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, পৃথক থানা থাকলে যে সুবিধা মিলত সেটা মিলছে না। এমনকী নিজস্ব থানা না থাকায় অভিযোগ দায়ের হলে তার তদন্ত করতে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সুতরাং জেলার মানুষজন জেলায় থাকা সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপর বিশ্বাস, ভরসা রাখতে পারছেন না। তাই সাইবার ক্রাইম উইং চায় একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পৃথক সাইবার ক্রাইম থানা। বিষয়টি নবান্ন বিবেচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)