'গঙ্গার ঘাট সংস্কারের প্রয়োজন আছে', ত্রিবেণী কুম্ভে এসে বললেন হুগলির সাংসদ...
আজকাল | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: 'প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে স্নান করেছি। তাই এখানে আর করলাম না। গঙ্গাজল মাথায় নিলাম। আজ মাঘী পূর্ণিমা। এই বিশেষ দিনে আমি আমার সংসদ এলাকায় যদি না যাই তাহলে কী করে হয়।', বুধবার ত্রিবেণী কুম্ভের জল মাথায় ছিটিয়ে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন হুগলির সাংসদ, অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। প্রশংসা করলেন ত্রিবেণী কুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়েও। এদিন সংসদের পোশাকেও ছিল চমক।
প্রয়াগরাজে সরস্বতী পুজোর দিন পূণ্যস্নান করেছিলেন গেরুয়া কাপরে। এদিন ত্রিবেণী কুম্ভে উপস্থিত হলেন সবুজ শাড়ি, সবুজ চশমায়। রচনা বললেন, 'আমি কালার থেরাপি করি।' উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। পুণ্যস্নানের ভিডিও তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমেও দিয়েছিলেন।
এদিন ত্রিবেণী এসেও একই কথাই বললেন। সাংসদ বলেছেন, 'সরস্বতী পুজোর দিন ভিড় হবে, তাই আমাকে যেতে বারণ করেছিল। আমি বলেছিলাম, সরস্বতী পুজোর দিনেই মহাকুম্ভে স্নান করব। করেছি। ওখানে ব্যবস্থাপনা খুব ভাল ছিল। তবে, অনেকটা দূরে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছিল। আগে ওখানে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তখন হয়তো সেই ব্যবস্থাপনা ছিল না। আমি যেদিন গিয়েছি, সেদিন খুব ভাল দেখেছি। বিষয়টা একেবারেই এরকম নয় যে ভিআইপি গেলে, তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কারণ সেরকম বিশেষ কোনও ব্যবস্থা আমি দেখিনি। হয়তো ওখানে দুর্ঘটনা ঘটার পর, ওখানকার সরকার আরও বেশি তৎপর হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ ওখানে গেছেন। ভাবুন, মানুষ যদি একটু দৌড়তে শুরু করে, তাহলে কী হতে পারত। ত্রিবেণী কুম্ভ মেলার ব্যবস্থাও খুবই ভাল। এখানে জেলার সমস্ত দপ্তর একসঙ্গে মিলে কাজ করেছে। তবে, গঙ্গার ঘাট গুলোর একটু সংস্কার করা প্রয়োজন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব।'
সাংসদ আরও বলেন, 'প্রয়াগরাজে গেরুয়া পোশাক ছিল। এখানে সবুজ কারণ আজ বুধবার। এদিন আমি সবুজ পরি। আর তাছাড়া আমি কালার থেরাপি করি।' এদিন সংসদের সঙ্গে ত্রিবেণী কুম্ভে উপস্থিত ছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিল্পী চ্যাটার্জি, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী প্রমুখ।