সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা চন্দ্রিমার
বর্তমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। প্রত্যাশা মতোই বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আজ, বুধবার বিকেলে বিধানসভায় বাজেট পেশের সময়ে তিনি ঘোষণা করেছেন চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে ডিএ কার্যকর হবে। এই ঘোষণার পরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হল ১৮ শতাংশ। এই একই সুযোগ সুবিধা পাবেন রাজ্যের অবসারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা। যদিও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর প্রস্তাবে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিজেপি। এদিন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে তাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে বর্তমান সরকার। তবে শুধুই সরকারি কর্মচারীদের কথাই ভেবে থেমে থাকেনি রাজ্য সরকার। এদিনের বাজেটে গ্রামীণ পরিষেবার দিকটিও দেখেছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও গ্রামবাংলার গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যার পুরো অর্থটাই দিচ্ছে নবান্ন। এদিন বাজেটে সেই প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দ করেছেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রামবাংলায় পাকা রাস্তা তৈরিতেও নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ব্যয়ে ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছে। সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং আগামী দিনে এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পথশ্রী প্রকল্পে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এরই সঙ্গে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি সাধনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেতুবন্ধনের কাজ করে থাকেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবাও প্রদান করে থাকেন তাঁরা। এছাড়া অসংক্রামক ব্যাধি, যেমন ডেঙ্গু, যক্ষা, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁদের সেই অবদানগুলিকে সম্মান জানিয়ে এবং কাজের সুবিধার জন্য স্মার্ট ফোন দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণা মতোই ৭০ হাজার আশা ও ১ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার জন্য ২০০ কোটি টাকা এদিনের বাজেটে বরাদ্দ করেছে রাজ্য। অপরদিকে রাজ্যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সুফল বাংলার ৩৫০ স্টল খোলার প্রস্তাব দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় ১.০৮ কোটি কৃষককে দুই কিস্তিতে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২৪ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে বিধানসভায় জানালেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।