WB Budget 2025 LIVE UPDATE: বাজেট পেশের পর কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিদিন | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় তৃণমূল সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ আজ। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে এই বাজেটে নজর রাজ্যের উন্নয়নমূলক এবং জনমুখী প্রকল্পের দিকে। রাজস্ব ঘাটতি মেটানোও অন্যতম লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। পরিকাঠামো উন্নয়ন- শিক্ষা-সহ অন্যান্য খাতে কতটা দরাজহস্ত মুখ্যমন্ত্রী? রাজ্য বাজেটের প্রতি মুহূর্তের LIVE UPDATE:
বিকেল ৫.৫৫: কেন্দ্রের মোট ধার ১ লক্ষ ৪১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। জিডিপির ৫৬.১ শতাংশ ধার মেটাতে যায়। দাবি রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের। তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন এসেছিলাম গত সরকার দেনার দায় চাপিয়েছিল। ২ লক্ষ কোটি টাকার দেনা ছিল। এছাড়া স্মল সেভিংস থেকেও ধার ছিল। বর্তমানে বাংলা অনেক ভালো জায়গায় আছে।” মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছরও ৮০ হাজার কোটি টাকা শোধ করেছে রাজ্য। অমিত মিত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রের রাজস্ব ঘাটতি যেখানে ৪.৪ শতাংশ। সেখানে রাজ্যের ঘাটতি মাত্র ৩.৬।
বিকেল ৫.৪৯: অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তীব্র আপত্তি মমতার। তাঁর দাবি, “অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নাম ঢুকিয়ে দেবে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাবে। তারা এসে ভোট দেবে। কিন্তু বাংলা এই চেষ্টাকে রুখে দেবে।”
বিকেল ৫.৪৮: কেন্দ্র আগে নিজের দুর্নীতি সামলাক। মহাকুম্ভে এত মানুষের প্রাণ গেল কেন? প্রশ্ন মমতার।
বিকেল ৫.৩০: দেউচা পাঁচামিতে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫.২৭: রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ায় না। সিএসসিই বাড়ায়। এটা স্বশাসিত সংস্থা। দিল্লিতে একটা বোর্ড আছে, ওখান থেকে বাড়ায়। এটা নিয়ে কিছু বলব না। তবে দেউচা পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলন হলে বিদ্যুতের দাম কম হবে। আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫.২৬: বাজেট ভিশন, কর্মসংস্থান মিশন: মমতা।
বিকেল ৫.২২: ৭৫ শতাংশ পিঁয়াজ বাংলায় উৎপাদন হয়: মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫. ১৫: স্বাস্থ্যসাথী পায় ৯ কোটি পরিবার। খরচ ১২ হাজার কোটি: মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫.০০: বাজেট পেশের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর খোঁচা, “কেন্দ্রীয় বাজেটে শুধু প্রতিশ্রুতি থাকে। আমরা নিজস্ব রাজস্ব থেকে বাজেটে বরাদ্দ করি। বাজেটে যা বলি, তাই করি।” সঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, “অন্য রাজ্যের থেকে আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আলাদা। ওঁদের অনেক শর্ত থাকে।”
বিকেল ৪.৫৪: বিধানসভার অধিবেশন থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কটাক্ষ, “রাজ্য সরকার যে দেউলিয়া, তা বাজেটের ছত্রে ছত্রে প্রমাণিত। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও রাখা হয়নি বাজেটে।”
বিকেল ৪.৫১: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতার মাধ্যমে বাজেট ভাষণ শেষ।
বিকেল ৪.৩৫: নদীবন্ধন নামে নতুন প্রকল্পে বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে কর্মসংস্থান করা হবে। ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
বিকেল ৪.৩৩: উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৬ হাজার ৫৯৩ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন চন্দ্রিমা। স্কুলশিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ হয়েছে ৪১,১৫৩.৭৯ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের জন্য ২১ হাজার কোটির বেশি বরাদ্দ।
বিকেল ৪.৩২: আরও একবছর চা শিল্পে করছাড়। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল আরও এক বছর।
বিকেল ৪.২৭: আরও সাড়ে তিনশো সুফল বাংলা স্টল। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.২৬: ৪.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
বিকেল ৪.২০: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য ৭০ হাজার স্মার্টফোন। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.১৬: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ৯ হাজার ৬০০ কোটি বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। ১৪ হাজার কোটি আগেই ছিল। ফলে বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়ে হল প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। আগামী আর্থিক বছরে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে।
বিকেল ৪.১৫: ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব বাজেটে। পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে নয়া বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা। এর ফলে মোট ১৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
বিকেল ৪.১৩: নদী ভাঙন রুখতে বরাদ্দ ২০০ কোটি।
বিকেল ৪.১১: পথশ্রী প্রকল্পে ৩৭ হাজার বরাদ্দ আরও দেড় হাজার কোটি টাকা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। দু বছরের মধ্যে কার্যকর হবে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’।
বিকেল ৪.০০: অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পড়া শুরু করতেই শুভেন্দু অধিকারী ‘চাকরি চাই’ বলে স্লোগান। পালটা আওয়াজ ‘জয় বাংলা’।
বিকেল৩.৫০: বাজেট শুরুর ঠিক আগে ‘ক্লাস মনিটর’ অরূপ বিশ্বাস ঘুরে ঘুরে বিধায়কদের কাছে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণের সময় মুখ বন্ধ রাখতে বললেন।
দুপুর ২.৫০: বিএ বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মাপ্রকাশ করেন। বলেন, “এধরনের বৈঠকে বিরোধীদের হাজির থাকা উচিত।”
দুপুর ২.৪০: বাজেট (West Bengal Budget 2025) পেশের আগে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা। এমনকী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও রয়েছেন সেখানে। তবে এবারও বিজেপির কোনও বিধায়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এর পর মন্ত্রিসভার জোড়া বৈঠক হবে। প্রথমটি সাড়ে তিনটেয়। তার পর মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক পৌনে চারটেয়। যা বাজেটের আগে হওয়া মন্ত্রিসভার ‘বিশেষ বাজেট বৈঠক’ বলে পরিচিত
দুপুর ২.৩০: একদিকে রাজ্য সরকারের মাথার উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার দেনা। তার উপর চড়া সুদের দরুণ প্রতি আর্থিক বর্ষে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে রাজ্যের আয়ের ক্ষেত্র শুধুমাত্র আবগারি শুল্ক এবং বিদ্যুৎ বিক্রি। আমজনতার উপর চাপ বাড়ানোর পক্ষপাতী নয় মমতা সরকার। ফলে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি কর চাপাতে নারাজ নবান্ন। রয়েছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনাও। তাই এবার রাজ্য কীভাবে রাজস্ব ঘাটতি সামাল দেয়, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।