প্রণবপুত্রের ঘর ওয়াপসি, তৃণমূলকে বিদায় দিয়ে ‘হাত’ শিবিরে অভিজিৎ
প্রতিদিন | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ বছরের ব্যবধানে ফের কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন প্রণবপুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের। বুধবার রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তরে প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। পুরনো দলে ফিরে অভিজিতের দাবি, বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যেই এই প্রত্যাবর্তন বলে জানালেন প্রণবপুত্র। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পেতে পারেন অভিজিৎ।
কিছুদিন আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে কংগ্রেসে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ। তাঁর সেই ইচ্ছায় অনুমোদন দেওয়ার পরই প্রদেশ নেতৃত্বকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় একটা সময় কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হয়ে যাওয়ার পর তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র জঙ্গিপুর থেকে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে ফের জঙ্গিপুর থেকে সাংসদ হন। কিন্তু ২০১৯ সালে জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন অভিজিৎ। তার পর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।
২০২১ সালের ৫ জুলাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অভিজিৎ। সে সময় বলেছিলেন তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলও সেভাবে ব্যবহার করেনি তাঁকে। অভিজিৎকে লোকসভা বা বিধানসভা কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী করা হয়নি। বস্তুত গত ৩ বছর তৃণমূলেও সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি অভিজিৎবাবুকে। গত কয়েক মাস তৃণমূলে যোগ নিয়েও তাঁর আক্ষেপ তৈরি হয়। কাজের সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না বলে জানান। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই আনুষ্ঠানিক ভাবে হাত শিবিরে ফিরলেন অভিজিৎবাবু। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেবে হাত শিবির।
বুধবার প্রদেশ সভাপতির হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিয়ে অভিজিৎ বলেন, “বিজেপির বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। আজ এই সময়েও ভারতের প্রতিটি গ্রামে অন্তত এক থেকে দুইজন কংগ্রেসি পরিবার রয়েছেন। আমার দায়িত্ব থাকবে। কংগ্রেসের প্রতি তাঁদের আস্থা ফিরিয়ে আনার।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “কংগ্রেস হল এমন একটা দল যারা সকলকে নিয়ে চলতে পারে।” শুধু তাই নয়, ‘কংগ্রেসের গুরুত্ব বোঝাতে দিল্লির নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি বলেন, “দিল্লির নির্বাচন প্রমাণ করে দিয়েছে কংগ্রেস ছাড়া কারও অস্তিত্ব নেই।”