সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানোর ঘোষণার দিনই বড় আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পে কমিশনের টাকা-সহ এই ডিএ। ভবিষ্যতে আরও পাবেন। আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব।’ ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটের আগে বুধবার ছিল শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। জল্পনা ছিল, বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ঘোষণা থাকতে পারে। মিলল হিসাব। ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের। এর ফলে ডিএ-এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ। ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত ডিএ পাবেন সরকারি কর্মী, পেনশনভোগীরা।
সরকারি কর্মীদের বেসিক মাইনের উপর নির্ভর করে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দেয় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম পে কমিশনের ঘোষণা করেছে। আর এই ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্র-রাজ্যের ডিএ-বৈষম্য নিয়ে আরও বেশি করে সরব সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটের সময় সরকারি কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তাই রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, সরকারি কর্মীদের জন্য সরকারকে আলাদা করে চিন্তাভাবনা করতেই হয়।
এ দিন ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পর কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএ-এর মধ্যে ফারাক রইল ৩৫ শতাংশ। মমতা জানান, এই ফারাকও ধীরে ধীরে কমে আসবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিনে সবটা হয় না। আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব। ফেজ় বাই ফেজ় হবে। এতগুলি প্রকল্প চালিয়ে যখন যেমন আমাদের টাকা আসবে, দেবো।’
প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একটা অংশের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। ২০১৯ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাট এ নিয়ে রায় দিয়েছিল। পরে হাইকোর্টে সেই মামলা হলে স্যাটের রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে ডিএ দেওয়ার নির্দেশও দেয়। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ডিএ মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এরই মধ্যে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা মমতার সরকারের।