গেরুয়া পরে মহাকুম্ভে ডুব দেওয়ার পর এ বার মাঘী পূর্ণিমায় হুগলির ত্রিবেণী সঙ্গমে সবুজ শাড়ি পরে মাথায় গঙ্গা জল ছোঁয়াতে দেখা গেল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানালেন, ‘দারুণ ব্যবস্থা।’ মহাকুম্ভে গেরুয়া পোশাকের পর এদিন সবুজ পোশাক পরার পিছনেও বিশেষ কারণ রয়েছে বলে জানালেন হুগলির সাংসদ।
বুধবার মাঘী পূর্ণিমায় হুগলির ত্রিবেণী কুম্ভে আসেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই বছরে দুই কুম্ভে পুণ্যস্নানের সুযোগ পেয়ে আপ্লুত তিনি। এ দিন গঙ্গায় নেমে মাথায় জল ছুঁইয়ে নেন সাংসদ। বলেন, ‘তিন তারিখ একটি শুভ দিন ছিল। আর আজ আরও একটি শুভক্ষণ। এই দু’দিনই গঙ্গায় কুম্ভে আসার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখানকার ব্যবস্থাপনা দারুণ। সবাই সুন্দরভাবে লাইন করে আসছেন স্নানের জন্য। আজ পুণ্যলগ্নে গঙ্গায় নেমে মাথায় জল দিলাম। আজকের দিনে আমার সংসদীয় এলাকার কুম্ভে আসব না তো কবে আসব?’
একই সঙ্গে রচনা জানান, তাঁর সংসদীয় এলাকায় গঙ্গা ভাঙন রোখার সঙ্গে ঘাটের সংস্কারের বিষয়টিও তাঁর মাথায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় দল এসে ভাঙন পরিদর্শন করে গিয়েছেন বলেও জানান সাংসদ।
মহাকুম্ভে স্নান নিয়েও বিশেষ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সরস্বতী পুজোর দিন ভিড় হবে বলে আমাকে যেতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু, আমি বলেছিলাম সরস্বতী পুজোর দিনেই স্নান করব। কোনও বাড়তি ব্যবস্থা লাগবে না। সেই মতোই নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে প্রয়াগে গিয়ে ডুব দিই।’
এ দিন সাংসদ রচনার পরনে ছিল একটি সবুজ শাড়ি। মহাকুম্ভের দিন তিনি পরেছিলেন গেরুয়া কুর্তা-সালোয়ার। সেই নিয়ে কটাক্ষও শোনা যায় বিরোধীদের মুখে। রঙ রাজনীতি নিয়ে সমস্ত জল্পনার জবাব এদিন দিলেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘এটা কাকতালীয়। আসলে আমি কালার থেরাপি করি। যে বারে যে রঙের জামা পরা উচিত আমি তাই করি। আজ বুধবার তাই সবুজ পরেছি।’
উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজের মতো হুগলির ত্রিবেণীতেও তিন নদীর সঙ্গম। ত্রিবেণীকে দক্ষিণ প্রয়াগও বলা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস, ৭০০ বছর আগে নাকি এখানেও কুম্ভ হতো। মকরস্নান করে গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে সাধু সন্তরা ত্রিবেণীতে বিশ্রাম নিতেন। মাঘ সংক্রান্তিতে ত্রিবেণী হয়ে উঠত মিনি কুম্ভ। এদিনের পুণ্যলগ্নে কুম্ভ স্নানের তৃপ্তি লাভে ত্রিবেণীতে এসেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।