• ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’, শত্রুঘ্ন বিতর্কের মধ্যেই সংসদে মনে করালেন কল্যাণ
    প্রতিদিন | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: প্রবাদেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। সংসদে দাঁড়িয়ে মনে করালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মৎস্যজীবীদের জন্য যে প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তাতে বরাদ্দ বাড়া উচিত বাংলার।
    আসলে দিন কয়েক আগে তৃণমূলেরই সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা দেশজুড়ে নিরামিষ চালুর দাবি করে বিতর্ক বাঁধিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত গোমাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি মনে করি, শুধুমাত্র গোমাংস নয়, দেশে সম্পূর্ণভাবে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করা উচিত।” যদিও পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শত্রুঘ্নকে বলতে শোনা যায়, “আমার দল তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই মানুষের খাদ্যাভ্যাস, ধর্মাচরণ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী কোন আইনকে সমর্থন করে না।”

    শত্রুঘ্ন সাফাই দিলেও বিতর্ক থামেনি। সেই আবহেই এদিন কল্যাণ সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, “বাংলায় কয়েক লক্ষ মানুষের জীবিকা মাছের উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া প্রবাদেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। বাংলায় কেউ গেলে প্রথমে ইলিশ মাছ, চিংড়ি দেওয়া হয়। বাংলার মানুষ এত মাছ খায়, যে পরিমাণ মাছ চাষ হয়, তাতে হয় না। আমার প্রশ্ন তাহলে বাংলার মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ এত কম কেন?” আসলে কেন্দ্রীয় বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু সেই প্রকল্পে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল-সহ অন্যান্য রাজ্যে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও পশ্চিমবঙ্গে বরাদ্দ নামমাত্র। অর্থাৎ বাংলার মৎস্যচাষীরা কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না, সেটার প্রতিবাদেই জোরালোভাবে বাংলার পক্ষে সওয়াল করেন কল্যাণ।

    সংসদে মাছ নিয়ে প্রবাদ মনে করিয়ে আসলে কি শত্রুঘ্ন বিতর্ক চাপা দিতে চাইলেন কল্যাণ? তৃণমূল সূত্র বলছে, কল্যাণের বক্তব্যের সঙ্গে শত্রুঘ্নের বয়ানের কোনও যোগ নেই। তিনি শুধু বাংলার বঞ্চনা তুলে ধরেছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)