নিউ টাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ, খুনের অভিযোগে এক টোটো চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। টোটো, ই-রিক্সা চালকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিধাননগর পুলিশ।
নিউ টাউনের ভিতরে টোটো, ই-রিক্সার বাড়বাড়ন্ত। অটোর নির্দিষ্ট রুট থাকলেও এই ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে কোনও রুট নির্ধারিত না থাকায়, যে কোনও জায়গায়ই ঢুকে পড়ে টোটো, রিক্সা। সম্প্রতি এক নাবালিকার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, এর পর পুলিশও নিরাপত্তার দিকটি শক্তপোক্ত করতে চাইছে।
নিউ টাউনে যত টোটো ও ই-রিকশা চলে, প্রত্যেক চালককেই সচিত্র পরিচয়পত্র ও রঙিন ছবি জমা দিতে হবে বলে খবর। পুলিশের তরফ থেকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যে পরিচয়পত্রের এক কপি টোটোর গায়ে লাগানো থাকবে, এক কপি থাকবে পুলিশের কাছে। আরও এক কপি যাবে পরিবহণ দপ্তরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, টোটো ও রিক্সা চালকদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হবে। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা থাকে, তা হলে তিনি টোটো কিংবা রিক্সা চালানোর অনুমতিই পাবেন না।
এমনও অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও অনেকেই বাইরে থেকে এসে ভাড়া নিয়ে নিউ টাউনে থাকেন, সেখানে টোটো কিংবা ই-রিক্সা চালান। ফলে কেউ কোনও অপরাধ করে এলাকা ছাড়লে, ধরা মুশকিল হয়ে ওঠে। কারণ, পুলিশের কাছে তাদের কোনও নির্দিষ্ট তথ্য থাকে না। পুলিশ সূত্রে খবর, সমস্ত কিছুকে নখদর্পণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মায়ের কাছে বকা খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। এর পরই স্থানীয় লোহার পুলের কাছে একটি ঝোঁপের ভিতর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক টোটো চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।