• সাইবার ফাঁদে ‘সেফ’ থাকবেন কী ভাবে? দিশা দেখাতে উদ্যোগী আকাশবাণী কলকাতা
    এই সময় | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অজানা নম্বর থেকে আসা কোনও মেসেজ অথবা কোনও ইমেল। সেখানেই থাকে কোনও লিঙ্ক। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বনাশ। অথবা কোনও অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোনে উল্টোদিকের ব্যক্তিকে ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ দিয়ে দিলেই বিপদ। নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সম্প্রতি বারবার সামনে এসেছে সাইবার বিপদের নানা দিক, সামনে এসেছে সাইবার অপরাধের নানা ঘটনা। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে নানা সচেতনতা শিবির করা হয় নানা জায়গায়। এ বার সাইবার বিপদ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল আকাশবাণী কলকাতা।

    ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার আকাশবাণী কলকাতার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ‘সেফ সাইবার’ শীর্ষক সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভা। ব্রডকাস্টিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট-এর প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত হয়েছে এটি। একাধিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন এখানে। এছাড়াও নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও যোগ দিয়েছিলেন এই আলোচনা সভায়।

    কী ভাবে এই সাইবার অপরাধ হয় তা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় এখানে। লাইভ ডেমোস্ট্রেশনের মাধ্যমে দেখানো হয় কী ভাবে ফিশিং স্ক্যাম হয়, কী ভাবে নানা আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। যাঁরা এ দিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী এবং সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ রাজর্ষি রায় চৌধুরী। সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ালে কী সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়? ‘এই সময় অনলাইন’-কে আইনজীবী রাজর্ষি রায় চৌধুরী জানালেন, খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব, কিন্তু তার জন্য আইন মেনে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।

    তিনি জানালেন, মূলত তথ্য ও অর্থ চুরি যায় সাইবার প্রতারণার ঘটনায়। এর মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থ লোপাট হওয়ার ঘটনা ঘটে। যে প্ল্যাটফর্ম থেকে এই প্রতারণার জন্য টাকা খোয়া গিয়েছে প্রথমে সেখানে ট্রান্সজ়াকশন ধরে Dispute Raise করতে হবে। তার পরে সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানিয়ে ট্রান্সজ়াকশন আইডি দিয়ে রিপোর্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই লেনদেনের ট্রেইল ধরে টাকা ব্লক করা হয়। এই প্রতারণার ঘটনা নিয়ে জিডি বা এফআইআর করা থাকলে আদালতের কাছে ওই টাকা ফেরত পেতে দরখাস্ত করতে হবে। তার পরে আইন মেনে পুলিশ ও ব্যাঙ্কের রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়।

    আকাশবাণী কলকাতার ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) ড. মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)