লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বাড়তে পারে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই মনে করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন, অনেকেই আশা করেছিলেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে পারে রাজ্য। এই নিয়ে বাজেটে নতুন কিছু ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু এই প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিতই থাকছে।
তবে, বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে ঘোষণা না হলেও আগামী দিনে যে এই প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়বে না, এমনটা বলা যাচ্ছে না। ভোটের আগে এই প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার নতুন উপভোক্তাকে যুক্ত করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, এখন ওই প্রকল্পে মোট উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ২.২৬ কোটির কিছু বেশি। এদিন বাজেট বক্তৃতায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিই থাকছে।তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বর্তমানে ১২০০ টাকা এবং সাধারণ বিভাগের মহিলারা ১০০০ টাকা করে ভাতা পান। সেটাই অপরিবর্তিত থাকছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় রাজ্যের। ১২ কোটি মহিলা পান এই প্রকল্পের সুযোগ। এছাড়া ৯ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পায়। ৮০ হাজার পড়ুয়া পায় স্টুডেন্ট ক্রেকিড কার্ডে ঋণ। ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ বার্ধক্য ভাতা পান। ২০ লক্ষেরও বেশি মহিলা বিধবা ভাতা পান।তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ৫২ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। কৃষি পেনশন পান ৬৮ হাজার মানুষ। রূপশ্রী প্রকল্পে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার পরিবার বিয়ের জন্য টাকা পেয়েছে।