ডিএ বৃদ্ধিতে বিধানসভায় আবির মেখে স্লোগান সরকারি কর্মীদের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বুধবার রাজ্য বাজেটে ডিএ বৃদ্ধিতে খুশির জোয়ার সরকারি কর্মীদের মধ্যে। যার উচ্ছ্বাস দেখা গেল সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। এদিন বাজেটের পর বিধানসভা ভবনেও সেই আবেগ উপচে পড়ে। ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা শোনার পর এখানকার সরকারি কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করেন। বিধানসভার বাইরে সবুজ আবির মেখে তাঁরা পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। উচ্ছ্বসিত বিধাসভার কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র বিস্তর ফারাক নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ রয়েছে। বারবার রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের কর্মীরা ৫৩ শতাংশ ডিএ পেলেও তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা তা অনেকটা কম পান। বুধবারের বাজেট ঘোষণার আগে পর্যন্ত সেই পার্থক্য ছিল ৩৯ শতাংশ। ফের ৪ শতাংশ বাড়তেই এবার সেই ফারাক কমে দাঁড়াল ৩৫ শতাংশ।
২০২৩ সালের বড়দিনে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবারও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে রাজ্য সরকারের তরফে তেমন কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা হতাশ হন। অনেকেই আশা করেছিলেন, হয়তো ২০২৫ সালের রাজ্য বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আশার আলো দেখা যেতে পারে। সেজন্য এবার বাজেটের দিকে নজর রেখেছিলেন সরকারি কর্মীরা। তবে রাজ্য সরকার কর্মীদের নিরাশ করেনি মমতাময়ী সরকার। অবশেষে প্রত্যাশা পূরণ হল। বাড়ানো হল ৪ শতাংশ ডিএ। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্ধিত ডিএ দাঁড়াল ১৮ শতাংশ।
এদিকে কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি অষ্টম পে কমিশন গঠন করেছে। ২০২৬-এর ১ জানুয়ারি কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হবে। একইভাবে রাজ্যের সরকারি কর্মীরাও রাজ্যের সপ্তম পে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। এরকম পরিস্থিতিতে ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধিতে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।