বিশ্বজিৎ মিত্র: ছেলের অপরাধ ক্ষমাযোগ্য নয়। তাই নির্যাতিতার হয়ে নিজের ছেলের-ই চরম শাস্তি চাইলেন নিউটাউন ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের মা। বুধবার নদিয়ার ধানতলার বড়বড়িয়ায় নিজের এলাকায় দাঁড়িয়ে তিনি এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সুর চড়ান।
মায়ের দাবি, অল্প বয়স থেকেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে সৌমিত্র। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৌমিত্র ছেড়ে দেয় পড়াশোনাও। অন্যের বাড়িতে আয়া অথবা পরিচারিকার কাজ করে ছেলেকে বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করলেও, তাকে লেখাপড়া শেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না তার। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। মায়ের জন্য টাকাও পাঠাত না বাড়িতে। রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বড়বড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে নিউটাউনে থাকত সৌমিত্র। একসময় কর্মসূত্রে কলকাতাতে থাকতেন অভিযুক্ত সৌমিত্রের মা-ও।
প্রসঙ্গত, নিউটাউনের লোহার ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ১৪ বছরের কিশোরীর অর্ধনগ্ন দেহ। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরচ্ছিল। তদন্তে উছে আসে হাড়হিম তথ্য। জানা যায়, বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টোটো চালক সৌমিত্র রায়-ই জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করে ওই নাবালিকাকে। অভিযুক্ত টোটো চালক সৌমিত্র রায়কে গ্রেফতার করে বিধাননগর গোয়েন্দা এবং নিউটাউন থানার পুলিস। এই ঘটনায় নিউটাউন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়ায়ৃ। স্থানীয়রা মৃতদেহের গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখায়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ টোটোতে চাপে নির্যাতিতা। প্রথমে টোটোর পিছনের সিটে বসে নাবালিকা। এরপর অন্য যাত্রীরা উঠলে নাবালিকাকে অভিযুক্ত সৌমিত্র রায়-ই সামনের সিটে বসিয়ে নেয়। তারপর অন্য যাত্রীদের নামিয়ে, নিউটাউনের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরায়। শেষে লোহার ব্রিজের কাছে বেড়া দিয়ে ঘেরা পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। সেখানেই সে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করে বলে অভিযোগ।