গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে। ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ঘটনায় এই অভিযোগ উঠেছে। মৃতের পরিবার এবং সেখানের তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের একাংশের দাবি, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে লালু শেখ নামের ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে। মঙ্গলকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মফিজুল শেখকে মেরে ফেলার জন্যই ওই পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেও তাঁদের অভিযোগ। কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান গ্রামীণ) রাহুল পান্ডে।
জানা গিয়েছে বর্ধমানের কাটোয়া আদালতে একটি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মফিজুল শেখ এবং লালু শেখ। বাইকে চেপে ফিরছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, বর্ধমানের কোকগ্রামের কাছে তাঁদের মোটরবাইকে আচমকা একটি বোলেরো গাড়ি ধাক্কা মারে। তাতেই গাড়ির তলায় পিষে যান লালু শেখ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই অবস্থায় তাঁকে ছেঁচড়ে অনেক দূর নিয়ে যায় ওই গাড়িটি।
মঙ্গলকোটের নতুনহাট-গুসকরা রোডের আটঘড়া গ্রামের কাছে ওই ঘটনার পরে দু’জনকেই উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লালু শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মফিজুলকে নিয়ে আসা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নতুনহাট গুসকরা রোডে মঙ্গলকোটের আটঘড়ার কাছে। লালুর বাড়ি মঙ্গলকোটের কল্যাণপুরে। জানা গিয়েছে, পুরানো একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে দিয়েছিলেন মফিজুল। ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
লালুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, যে ভাবে ওই বাইকে ধাক্কা দেওয়া হয় তাতে স্পষ্ট যে এটা নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়। এই পরিকল্পিত খুন বলেও দাবি তাঁদের। লালু লাখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফতেমা বিবির শ্বশুর তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। দলের একাংশের সন্দেহ মফিজুলকে টার্গেট করেই এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দিন কয়েক আগেই লাখুরিয়াতে মাটি কাটা নিয়ে শাসক দলের দুই শিবিরের মধ্যে গোলমাল হয়েছিল। কিছু দিন আগে ওই এলাকার এক যুবকের মৃত্যুতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। বুধবারের ঘটনার সঙ্গে আগের কোনও ঘটনার মিল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।