• শিক্ষাদপ্তর ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের যৌথ উদ্যোগে পড়ুয়াদের চক্ষু পরীক্ষা
    বর্তমান | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: জেলার স্বাস্থ্য ও শিক্ষাদপ্তর এবং হলদিয়ার রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমের যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের চক্ষু পরীক্ষা শিবির শুরু হয়েছে। মডেল প্রকল্প হিসেবে হলদিয়া পুরসভা ও সংলগ্ন ব্লক এলাকায় চলছে এই চক্ষু পরীক্ষ শিবির। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়ার চক্ষু পরীক্ষা ও সচেতনতা শিবির হয়েছে। ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ওই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক তনভির আফজল। গত মঙ্গলবার ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের লক্ষ্য, খুদে পড়ুয়াদের স্কুল শুরুর মুখেই চোখের পরীক্ষা করা।জেলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষাদপ্তরের বক্তব্য, ছাত্রাবস্থায় চক্ষু পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখ ভালো না থাকলে পরবর্তীতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। জেলা প্রশাসন এজন্য শিল্প সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে। প্রশাসনের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে হলদিয়ার ইন্দোরামা ইন্ডিয়া শিল্প সংস্থা। রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, হলদিয়া পুর এলাকা সহ ৮৭টি প্রাথমিক স্কুলে ১০ হাজার পড়ুয়ার চক্ষু পরীক্ষা হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়েও পরীক্ষা করে চশমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইন্দোরামার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৌরভ ভট্টাচার্য বলেন, ২০২৪-’২৫ আর্থিক বর্ষে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে ইন্দোরামা একাজ করছে।


    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ছাত্রছাত্রীদের কমপক্ষে বছরে একবার চোখের ভিশন টেস্ট জরুরি। অপরিণত নবজাতক শিশুর অন্ধত্ব ঠেকাতেও এবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের উদ্যোগে নতুন প্রকল্প শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন যৌথভাবে একাজ করবে। বুধবার মিশনের সঙ্গে জেলায় রেটিনোপ‍্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি(আরওপি) সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা পরিষেবার মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় উপস্থিত ছিলেন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)