• দুর্গাপুরে জবরদখলকারীদের বাধায় বন্ধ এডিডিএর উচ্ছেদ অভিযান
    বর্তমান | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: বুধবার দুর্গাপুর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনারতরী বস্তি এলাকায় অবৈধ দখলদারীর বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে যায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থা। এডিডিএর জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাড়িঘর ভাঙতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। জবরদখলকারীরা বাঁশ ও লাঠি হাতে এডিডিএর আধিকারিক সহ কর্মীদের বাধা দেয়। জবরদখলকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে তাঁরা চলে যান। জবরদখলকারীদের অভিযোগ, এডিডিএ কোনও নোটিস না দিয়েই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। এডিডিএ এর দাবি, আগাম নোটিস জারি করেই উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছিল।


    স্থানীয় ও এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টার লাগোয়া দীর্ঘদিনের পুরনো এই সোনারতরী বস্তি। অভিজাত এলাকা লাগোয়া এই বস্তিবাসীদের বাম আমলে সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। বস্তিবাসীরা আবাসনেই বসবাস করছিল। পরে আবাসনের আশপাশে এডিডিএ এর জমি দখল করে আবার বসতি শুরু করে। অবৈভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করাই এডিডিএ নিজের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেয়। সেই মতো নোটিস দিয়ে জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন এডিডিএর আধিকারিক ও কর্মীরা বুলডোজার নিয়ে এলাকার বাড়িঘর ভাঙার কাজ শুরু করেন। 


    ঘটনাস্থলে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপরেও দখলদাররা এডিডিএ-র অভিযান রুখে দেয়।


    বনি বাউরি বলেন, এদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ব্যাপারে এডিডিএ আগাম কোনও নোটিস দেয়নি। এখানকার বাসিন্দারা দিনমজুর ও মহিলারা পরিচারিকার কাজ করেন। সকালের দিকে কেউ বাড়িতে থাকেন না। সেই সময় উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় ছাগল ও গোরুও জখম হয়েছে। একটি বাচ্চা ছেলেও জখম হয়েছে। এদিন আটটি ঘর ভেঙে দিয়েছে। এডিডিএর সিইও রাজু মিশ্র বলেন, আগাম নোটিস দিয়েই কাজ শুরু হয়েছিল। এলাকাবাসীর কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)