৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি, মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে
বর্তমান | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধির খবরে কর্মী সংগঠনগুলির মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। ডিএ বৃদ্ধির এই ঘোষণা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে। বাজেট পেশের পর বিধানসভা ভবন চত্বরে ফেডারেশন সমর্থকরা এজন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। তাঁদের মধ্যে আবির খেলাও হয়। ফেডারেশনের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও সংগঠনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক ডিএ বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে দাবি করেন। প্রতাপপবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাঁদের সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি অনুযায়ী সরকার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলেই তাঁরা বিশ্বাস করেন।
বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলি অবশ্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধিতে মোটেই খুশি নয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবি থেকে তারা সরছে না বলে জানিয়েছে। তবে সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির দাবি, যেটুকু ডিএ বেড়েছে তা তাঁদের চাপেই। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত জানান, ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে গতমাসেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন তাঁরা। তারপর অন্তত ৪ শতাংশ হারে ডিএ দিতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। তিনি জানান, তবে এরপরেও কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অতএব ওই বকেয়া ডিএ’র দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, এই ডিএ বৃদ্ধির পরেও কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে ফারাক একই থেকে যাবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। কারণ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় কর্মীদের ফের এক কিস্তি ডিএ দেওয়া হবে। এই ঘোষণা খুব শীঘ্রই হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ ফারাকের দায় পূর্বতন বাম সরকারেরও। কর্মী সংগঠনগুলির লাগাতার দাবি সত্ত্বেও তখন ডিএ বৃদ্ধির স্থায়ী নির্দেশনামা জারি করা হয়নি। কিছু রাজ্যে এটা অনেকবছর ধরেই আছে। এই নির্দেশিকা থাকলে কেন্দ্রীয় ডিএ বৃদ্ধির সুফল রাজ্য কর্মীরা সরাসরিই পেতেন।
উন্নয়ন সংস্থা যুক্ত সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু নাগ জানান, ডিএ বৃদ্ধি হওয়া উচিত ছিল জানুয়ারি থেকেই। বাম আমল থেকে রাজ্য কর্মীদের ডিএ বঞ্চনাই অব্যাহত রয়েছে।