কেন্দ্রে মোদী সরকারের আমলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা। বুধবার রাজ্য বাজেটের পর সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে কেন্দ্রের ওই দাবিকে খারিজ করে অগ্রগতির প্রশ্নে মোদীর জমানায় ভারত কীভাবে পিছিয়ে পড়েছে তা নিয়ে বড় পরিসংখ্যান দিলেন রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। অমিত মিত্র বলেন, ‘অগ্রগতির প্রশ্নে কেন্দ্র সরকার পুরোপুরি ডেথ। জানেন এই মুহূর্তে কেন্দ্রের ঋণের পরিমাণ কত?’ খানিক থেমে অমিত মিত্র বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেন্দ্রের মোট ঋণের পরিমাণ ১লাখ ৪১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতে আজকে যে সদ্যোজাত জন্মগ্রহণ করছে তার মাথায় ঋণের পরিমাণ ১লাখ ৪১ হাজার ১৩১ টাকা!’
মোদী সরকারের আমলে দেশে জিডিপির হারও নেমে গেছে বলে জানান অমিত মিত্র। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেন্দ্রের জিডিপির হার ৪.৪ শতাংশ, সেখানে রাজ্য বাজেটে আমাদের ডিজিপির গ্রোথ ১১.৯৪ শতাংশ। ভারতের কোনও রাজ্যে আপনি এত বৃদ্ধি দেখাতে পারবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ২০১১ সালে বাংলার তখতে যখন বসেছিলেন তখন মাথার ওপর বাম জমানার ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনকার বিচারে ওই ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা। ওরা স্মল সেভিংস থেকেও ধার করেছিল। মনে রাখবেন, আমরা বামেদের রেখে যাওয়া দেনা তো শোধ করছিই, সঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’ আরও বলেন, ‘এবছরও বামেদের রেখে যাওয়া দেনার ৮০ হাজার কোটি টাকা শোধ করেছি আমরা। ওই টাকায় তো আরও ৩০ লক্ষ বাড়ি করতে পারতাম। একে তো কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, উল্টে বামফ্রন্ট সরকারের দেনা শোধ করতে হচ্ছে।’