• এ বার হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি সরকারি পরিষেবায়, মার্চে শুরু পিজি-তে
    এই সময় | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: সরকারি পরিষেবায় পূর্ব ভারতের প্রথম হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগ চালু হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে। বুধবার একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পুজো করে ওই বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে।

    রোগী পরিষেবা শুরু হবে মার্চে। ক্যান্সার-সহ সব রকম ইএনটি অস্ত্রোপচারের জন্য তিনটি ওটি টেবল থাকছে মডিউলার অপারেশন থিয়েটারে। বেসরকারি পরিষেবায় এই ধরনের অপারেশনে খরচ পড়ে ৩ লক্ষ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা। এসএসকেএমে সেই অপারেশন হবে সম্পূর্ণ নিখরচায়।

    এসএসকেএমেই রয়েছে হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি শাখায় পোস্ট ডক্টরাল চারটি এমসিএইচ আসন। এত সংখ্যক আসন মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ছাড়া দেশের আর কোথাও নেই। মুম্বইয়ে টাটা মেমোরিয়ালেও চারটি আসন। হেড অ্যান্ড নেক সার্জারিতে সারা দেশে এমসিএইচ আসন ১৭টি।

    সরকারি পরিষেবায় এমন উৎকর্ষ কেন্দ্রও পূর্ব ভারতে আর নেই। এতদিন বিভাগটির নাম ছিল ইনস্টিটিউট অফ ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি। ইএনটি–র চিকিৎসা হতো সেখানে। কিন্তু দিনকে দিন তামাকজাত দ্রব্যের নেশার বহর বাড়তে থাকায় ইদানীং ওরাল ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা এত বাড়ছে যে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছিল। সে জন্যই হেড অ্যান্ড নেক সার্জারির বিশেষজ্ঞ বিভাগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

    ওই বিভাগের শিক্ষক–চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি খুব জটিল, দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ অপারেশন। এক–একটি অস্ত্রোপচারে গড়ে ৮–১২ ঘণ্টা সময় লাগে। খুব কম করে হলেও ঘণ্টা ছয়েকের অপারেশন। অথচ ওটি টেবল ছিল মাত্র একটি। ফলে, দিনে একটির বেশি অপারেশন সম্ভব হচ্ছিল না। অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ৪০০ রোগী, যাঁদের অধিকাংশই ক্যান্সারে আক্রান্ত।

    এসএসকেএমের অরুণাভ সেনগুপ্ত আরও জানিয়েছেন, নতুন বিভাগে যেহেতু মডিউলার ওটি–তে তিনটি ওটি টেবল থাকছে, তাই ব্যাকলগ আগামী দিনে দ্রুত নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। নতুন ব্যবস্থায় থাকছে ক্যান্সার আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাদের জন্য তিনটি করে মোট ছ’টি বেডের দু’টি পৃথক ওয়ার্ড। বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ বাড়ছে বলেই এ বিষয়ে পোস্ট ডক্টরাল পঠনপাঠনও পুরোদমে সম্ভব হচ্ছে এখানে।

  • Link to this news (এই সময়)