এই সময়, মেদিনীপুর: কখনও তাঁকে দেখা গেল স্কুলের পড়ুয়া–শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে। আবার কখনও তিনি খোঁজ নিলেন আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির। এমনকী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা নিয়েও খোঁজখবর নিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। বুধবার সকাল থেকেই জেলাশাসক পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজকর্মের খোঁজখবর নেন।
এ দিন প্রথমেই তিনি কেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইংরেজি মাধ্যম মডেল মাদ্রাসার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জানতে চান কোনও সমস্যা আছে কি না। এরপর কেশপুরের ১৪ নম্বর ঝেতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসবাড় এলাকায় যান।
সেখানে ইন্টিগ্রেটেড ট্রাইবাল সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলের কাজ ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এই স্কুল তৈরি করতে ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই স্কুলের কাজ শেষ হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যেই এগোনো হচ্ছে।
এ দিনই ৫ নম্বর মুগবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের বানুয়া এলাকায় ইন্টিগ্রেটেড ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখেন খুরশিদ আলি। এই স্কুল নির্মাণে প্রায় ২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এ দিন জেলাশাসক কেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি প্রকল্পে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কাজের হাল সম্পর্কে জানতে চান। যেখানে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কাজ চলছে, সেই সব জায়গায় তিনি যান। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। সব শেষে আবাস যোজনার বাড়ি প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন।
এলাকার মানুষের আবাসের টাকা পেতে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না, তার খোঁজ নেন তিনি। খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখলাম। মানুষের সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেই নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললাম।’
এ ভাবে জেলাশাসক নিজে এসে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘জেলাশাসক নিজে এসে আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমরা খুব খুশি। আমরাও কিছু সমস্যার কথা তাঁকে জানিয়েছি।’ এ দিন জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন কেশপুরের বিডিও কৌশিক রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্ত গোরাই–সহ অন্যরা।