• তাজপুরে সমুদ্র বন্দর কি হবে? আদানি অস্বস্তিতে যা জানালেন মমতা...
    আজ তক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • তাজপুর বন্দর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনি পরামর্শ নিচ্ছে, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদানি গোষ্ঠী তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের টেন্ডার পেয়েছিল। তবে গত বছরেই এনিয়ে ধোঁয়াশা জারি হয়। আর সেই থেকেই তাজপুরের বন্দর নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেল। যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাজপুর বন্দর হচ্ছেই। রাজ্য সরকার পুরো বিষয়টি নিয়ে আইনি মতামত নিচ্ছে।

    আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে এবং পুনরায় টেন্ডার করা হবে কি না সে বিষয়ে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'তাজপুরে বন্দর হচ্ছে। একটি বিরোধ থাকায় টেন্ডারিং সম্ভবত আবার হবে। আমরা এই বিষয়ে আইনি মতামত নিচ্ছি। আইনি মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি।'

    তাজপুরে বন্দর নির্মাণে গৌতম আদানির সংস্থা আদানি পোর্টের সঙ্গে ২৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত (Letter Of Intent) হয় সরকারের।  ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর সরকারি বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠানে গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার করণ আদানির হাতে তা তুলেও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।  ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে কার্যত অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল।

     ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ঘোষণা করেন যে তাজপুরে বন্দর নির্মাণে নতুন করে টেন্ডার ডাকা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই  ঘোষণা অবাক করে দেয়। তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে তাজপুর বন্দর প্রকল্প থেকে আদানিতে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাজপুর বন্দরের ভবিষ্যত নিয়ে সেই থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে।

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট ২০২২-এ এসেছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণাও করেছিলেন। এর পরে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই প্রকল্পের LOI হস্তান্তর করেন। কলকাতার আদানি পোর্টের সিইও করণ আদানির হাতে তা তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, এই বছর আদানি গ্রুপের কেউ বাণিজ্য সম্মেলনে আসেননি।
  • Link to this news (আজ তক)