বজবজ ডাকাতি-গণধর্ষণ মামলায় ৩ দোষীর যাবজ্জীবন, ৮ বছর পর সুবিচার পেলেন বধূ
প্রতিদিন | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বজবজ ডাকাতি এবং গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার আলিপুরের সেকেন্ড ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অয়ন মজুমদার তিনজনকে এই সাজা শোনান। এই মামলায় জড়িত ছিল চারজন। তবে একজনের মৃত্যু হয়েছে আগেই। আট বছর পর সুবিচার পেল নির্যাতিতার পরিবার।
ঘটনা ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারির। সেই অভিশপ্ত রাতে ১টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বজবজ থানার বুইতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশুখারা গ্রামে নির্যাতিতার বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতী। বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। অভিযোগ ওঠে, দুষ্কৃতীরা প্রথমে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ এবং সোনার গয়না লুট করে। পরে স্বামী ও ৬ বছরের শিশুর সামনেই গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারপর নগদ টাকা-সহ সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় বজবজ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বজবজ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ধীমান বৈরাগী তদন্তে নামেন।
ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের সহযোগিতায় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। সিআইডিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আঁকা হয় দুষ্কৃতীদের ছবি। নোদাখালির বাসিন্দা তিন যুবককে আটক করে পুলিশ। তাদের থেকে ডাকাতির বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফলতার বাসিন্দা আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন থানায় অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। তাদের থেকেও উদ্ধার হয় নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং গয়না। নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন। বিচারপর্ব চলাকালীন জেল হেফাজতেই মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের অভিযুক্ত ইমাম শেখের। বিচারপর্ব শেষে আলিপুর সেকেন্ড ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অয়ন মজুমদার এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেন। শেখ রমজান, আবদুল হামিদ মোল্লা, ধানু শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাদের যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিলেন বিচারক।