খুনের পর ভিনরাজ্যে পালিয়েও হল না শেষরক্ষা, দত্তপুকুরে মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারে জম্মু থেকে ধৃত ১
প্রতিদিন | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাসত: অপরাধের পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সোজা জম্মুতে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। দত্তপুকুরে মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সুদূর জম্মু থেকে বারাসত পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল একজন। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই গ্রেপ্তারি। বুধবারে জম্মুর সাম্বা থেকে তাকে পাকড়াও করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে বারাসতে। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে তৎপর বারাসত পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম জলিল। দত্তপুকুরে হজরত লস্করের দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত করে আগেই জলিলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়ে হজরতের প্রাক্তন স্ত্রী পূজা দাস ও তুতো ভাই ওবায়দুল। সুফিয়াকে জেরা করে জলিল সম্পর্কে খোঁজখবরের পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরে দেখা যায়, কলকাতা স্টেশন থেকে দূরপাল্লার একটি ট্রেনে উঠছে জলিল। এরপর খোঁজ করতে করতে দেখা যায়, জলিল জম্মুর সাম্বায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এরপরই জম্মু যায় তদন্তকারীদের একটি দল। বুধবার জলিলকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার আদালতে পেশ করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে বারাসতে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।
গত ৩১ জানুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় মুন্ডুহীন এক যুবকের দেহ। আশপাশের নমুনা সংগ্রহ করে তাঁর নাম, পরিচয় মেলে। জানা যায়, নিহত লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা হজরত লস্কর। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পরবর্তী সময়ে তুতো ভাই ওবায়দুলকে বিয়ে করেন। তারপরও হজরতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তা জানতে পেরেই হজরতের উপর রাগ গিয়ে পড়ে ওবায়দুলের। তার জেরে খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে হজরতের কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার হয়নি। এই খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, জলিল ও অন্যান্যদের জেরা করে তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।