দিশা ইসলাম, বিধাননগর: নিউটাউনে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত টোটোচালকের পাশবিক অত্যাচারে নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন তার প্রথম স্ত্রী। তারপরও বদলায়নি চরিত্র। দ্বিতীয় স্ত্রীর উপরও ‘গুণধর’ অত্যাচার চালাত। এসবের মাঝেই নিউটাউন কাণ্ড (Newtown Incident)! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত সৌমিত্র রায়কে ‘জানোয়ার’ বলে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তার স্ত্রী মৌসুমী অধিকারী। বললেন, “জন্তুটা আমাকে প্রাণে মারেনি, আমার পরম ভাগ্য। আদালত ওকে কড়া সাজা দিক।”
বুধবার দুপুরে নিউটাউন কেষ্টপুর-বাগজোলা খালপাড় লাগোয়া গৌরাঙ্গনগর আদর্শপল্লির এক কামরা ভাড়াবাড়ির দাওয়ায় দাঁড়িয়ে সৌমিত্রর স্ত্রী মৌসুমী তিতি-বিরক্ত স্বরে জানিয়ে দিলেন, স্বামীর প্রতি তাঁর এক বিন্দুও সহানুভূতি নেই। উলটে ক্ষমাহীন এই অপরাধের জন্য তিনি স্বামীর কঠোরতম সাজা চাইছেন। ওঁর মতে, সৌমিত্র জানোয়ারের মতো কাজ করেছে। “ওকে কড়া সাজা দিক আদালত। নয়তো জন্তুটা এভাবে অনেক মায়ের কোল খালি করবে। ওকে ক্ষমা করা যাবে না।”, এমনটাই বললেন বধূ।
জানা গিয়েছে, এক বছর একমাস আগে, ২০২৪ সালে ২২ জানুয়ারি প্রেম করেন মৌসুমী ও সৌমিত্র। তারপর নদিয়ার ধানতলা বড়বড়িয়া গ্রাম থেকে নিউটাউনে এসে থাকতে শুরু করে। সৌমিত্র কেষ্টপুরের এক মালিকের থেকে ই-রিকশা ভাড়া নিয়ে সংসার চালাচ্ছিল। মৌসুমীর কথায়, “স্কুল পাশ করে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু ওর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল, সেটা চেপে গিয়েছিল। পরে শুনেছি, সৌমিত্রর পাশবিক অত্যাচারে আগের স্ত্রী ঘরে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন। সেই মামলায় পুলিশ ওকে গ্রেপ্তার করেছিল। কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৮ মাস ১৫ দিন জেলও খাটে। আমি কিছুই জানতাম না।” এরপরও সৌমিত্রর স্বভাব শোধরায়নি। বরং আরও অমানুষ হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ স্ত্রীর।। তীব্র ক্ষোভ উগরে মৌসুমী বলেন, “আগের স্ত্রী ও এবার নিউটাউনের বাচ্চা মেয়েটা। দুটো জীবন ও নষ্ট করেছে। জন্তুটা আমাকে প্রাণে মারেনি, সেটা নেহাত আমার কপাল। আদালত যেন ওকে কঠিন সাজা দেয়।”