• বাংলার লুপ্তপ্রায় লোকনাট্যের গবেষণায় ফেলোশিপ পেলেন হাওড়ার সঙ্গীতা
    এই সময় | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ছৌ, ঝুমুর, টুসুর মতো বাংলার লোকসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হাওড়ার নিজস্ব লোকনাট্য ‘কালিকাপাতাড়ি’। তবে বর্তমানে তা লুপ্তপ্রায়। এই লোকনাট্য নিয়ে গবেষণার জন্য ভারত সরকারের জুনিয়র ফেলোশিপে সম্মানিত হলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মিং আর্ট এবং বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রিধারী উলুবেড়িয়ার সঙ্গীতা দত্ত।

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর কালচারাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং থেকে ট্রাঙ্ক রোড থিয়েটার দলের সদস্য সঙ্গীতাকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে শৈশব থেকেই এই লোকনাট্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।

    সঙ্গীতা বলেন, ‘জেলার নিজস্ব এই লোকনাট্য দেশের মানুষের কাছে আজও অজানা। আগামীদিনে লুপ্তপ্রায় এই লোকনাট্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়াই আমার অন্যতম দায়িত্ব। ২০২২-২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জুনিয়র ও সিনিয়র মিলিয়ে ‘কালিকাপাতাড়ি’ লোকনাট্যকে একমাত্র লোকনাট্যের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে নাটক অ্যাকাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত প্রবীর গুহ এবং পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী দুই গুরু যুক্ত আছেন।’

    সঙ্গীতা জানান, ‘কালিকাপাতাড়ি’ লোকনাট্যের পাশাপাশি এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের আগামীতে সারা দেশের মানুষ দেখাতে পারে সেটাই আমাদের উদ্দেশ্যে। ‘কালিকাপাতাড়ি’তে নারীদের অংশগ্রহণ না থাকলেও আগামীতে এই লোকনাট্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একসাথে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    বর্তমানে ‘কালিকাপাতাড়ি’ শিল্পীরা পুরুলিয়ার ছৌ নাচের অনুকরণে অনুষ্ঠান করেন। সঙ্গীতা জানান, তাঁদের লক্ষ্য ‘কালিকাপাতাড়ি’ যেন কখনও ছৌ নাচের সঙ্গে মিশে না যায়। ছৌ নাচ ইতিমধ্যে ভারত তথা বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছে। এ বার ‘কালিকাপাতাড়ি’-কে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া তাঁর লক্ষ্য। দেশের সংস্কৃতিতে এই লোকনাট্য ভারতের মাথা আরও উঁচু করবে, দাবি সঙ্গীতার।

  • Link to this news (এই সময়)